অল্পে তুষ্টি ও সুখ এমন নেয়ামত যা শুধুমাত্র তাদেরকে দান করা হয় যারা সরল-সোজা পথ অনুসরণ করে। মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে এ পথের এক প্রান্তে রেখে গেছেন, এর অপর প্রান্তে রয়েছে জান্নাতসমূহ।
“এবং অবশ্যই আমি তাদেরকে এক সরল-সঠিক পথে পরিচালিত করেছি।” (৪-সূরা আন নিসা: আয়াত-৬৮)
সুখ বলতে আমরা বুঝি, যখন কেউ সরল-সঠিক পথে পরিচালিত থাকে। যদিও পথে সে সঙ্কটাপন্ন হয় তবুও সে একটি সুখকর সমাপ্তির ও বেহেশতে ভবিষ্যৎ আবাসের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস রাখে। ফলে সে এমন এক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অনুসরণ করে-যিনি নিজের ইচ্ছায় কথা বলেননি, যিনি শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে নিরাপদ ছিলেন এবং যার কথা মানব জাতির জন্য দলিল। “প্রতিটি মানুষের জন্য একের পর এক বহু ফেরেশতা রয়েছে, তারা আল্লাহ্র আদেশে তাকে তার সামনের দিক থেকে ও তার পিছনের দিক থেকে রক্ষণাবেক্ষণ করছে।” (১৩-সূরা রাআদ: আয়াত-১১)
ধাৰ্মিক লোকের আচরণ ও তার সরল-সঠিক পথে চলা দেখেই প্রত্যেকে তার (ধাৰ্মিক লোকের) আনন্দ উপলব্ধি করতে পারবেন। তিনি (ধাৰ্মিক লোক) জানেন যে, তার একজন প্রভু আছেন এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মাঝে তার (ধাৰ্মিক লোকের) এক উত্তম আদর্শ আছে, তার হাতে আল্লাহর কিতাব আছে, তার অন্তরে নূর বা জ্যোতি আছে এবং ভালো কাজ করতে অনুপ্রেরণা দানকারী তার একটি বিবেক আছে। সে কল্যাণের মহত্তর পর্যায়ে অগ্রসর হচ্ছে এবং সর্বদা কল্যাণের জন্য চেষ্টা করছে।
ذَٰلِكَ هُدَى اللَّهِ يَهْدِي بِهِ مَن يَشَاءُ مِنْ عِبَادِهِ
“এ হলো আল্লাহর হিদায়াত, আল্লাহ তার বান্দাদের মধ্য থেকে যাকে ইচ্ছা তাকে এটা দ্বারা সঠিক পথ প্রদর্শন করেন।” (৬-সূরা আল আন’আম: আয়াত-৮৮)
দু'টি পথ আছে : একটি রূপক অপরটি বাস্তব, প্রথমটি ঈমানের পথ যা এ পৃথিবীর উপর দিয়ে বয়ে গেছে-যে পৃথিবী নাকি লোভে ও আশায় ভরপুর। দ্বিতীয় পথটি আখেরাতে জাহান্নামের উপর দিয়ে বয়ে গেছে। জান্নাতে যেতে হলে প্রত্যেককেই এর উপর দিয়ে যেতে হবে। যে এটা পার হতে পারবে না সে জাহান্নামে পড়ে ডুবে যাবে। এ পথ কাটায় ভরা। যে ব্যক্তি এ পৃথিবীতে ঈমানের পথে চালিত হবে সে পরকালের পথ নিরাপদে অতিক্রম করতে পারবে। তার ঈমানের তেজের অনুপাতে তার পথ অতিক্রমের গতি হবে। আর জেনে রাখুন যে, যদি কেউ সরল-সঠিক পথে পরিচালিত হয়ে ধন্য হয় তবে তার দুশ্চিন্তা ও উদ্বিগ্নতা অতি দ্রুত দূর হয়ে যাবে।