“যখন তাদের মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে আসবে তারা এটাকে এক মুহূর্তও আগ পিছু করতে পারবে না।” (৭-সূরা আল আরাফ: আয়াত-৩৪)
যে কাপুরুষেরা তাদের প্রকৃত মৃত্যুর পূর্বে বহুবার মারা যায় তাদের জন্য এ আয়াতে একটি সান্ত্বনা রয়েছে। এ আয়াত আমাদেরকে বলে যে প্রত্যেক ব্যক্তির মৃত্যুর নির্দিষ্ট সময় আছে; একে আগ-পিছু করা যায় না, এমনকি সকল সৃষ্টি মিলে চেষ্টা করলেও পারবে না।
“এবং মৃত্যু-যন্ত্রণা অবশ্যই আসবে।” (৫০-সূরা কাফ: আয়াত-১৯)
আর জেনে রাখুন যে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো কাছে আশা করাই দুঃখ-দুর্দশার কারণ।
“ফলে আল্লাহর বিরুদ্ধে তাকে সাহায্য করার মতো তার এমন কোন দল ছিল না এবং যারা নিজেদেরকে সাহায্য করত সে তাদের অন্তর্ভুক্তও ছিল না (অর্থাৎ সে নিজেকেও সাহায্য করার মতো ছিল না)।” (২৮-সূরা আল কাছাছ: আয়াত-৮১)
ইমাম যাহাবীর রচিত “সিয়ারু আলামিন নুবালা” পুস্তক - ২০ খণ্ড। এ পুস্তকে আলেম-উলামা-জ্ঞানী-গুণী, রাজা-বাদশা, মন্ত্রী-মিনিস্টার, শাসকবর্গ ও কবিদের জীবনী আছে। তাদের কতিপয় লোকের জীবনী পড়ার
সময় আমার দুটি কথা বা বিষয় মনে পড়ে
১. যদি কেউ আল্লাহ ছাড়া অন্য কিছুতে আশা বা বিশ্বাস করে তবে আল্লাহ তাকে পরিত্যাগ করেন এবং
২. সে জিনিসকে তার ধ্বংসের কারণ বানিয়ে দেন।
“এবং নিশ্চয় শয়তানরাই মানুষদেরকে সৎপথ হতে বিরত রাখে, অথচ মানুষেরা মনে করে যে, তারা সৎপথে পরিচালিত।” (৪৩-সূরা আয যুখরুফ: আয়াত-৩৭)
ফেরাউনের ধ্বংসের কারণ ছিল তার পদমর্যাদা, কারুনের ধ্বংসের কারণ ছিল তার সম্পদ ও ব্যবসা আর উমাইয়ার এবং ওয়ালিদের ধ্বংসের কারণ ছিল তাদের সন্তান।
“আমি তাকে সৃষ্টি করেছি তার সাথে আমাকে একাই বুঝাপড়া করতে দাও।” (৭৪-সূরা আল মুদ্দাছছির: আয়াত-১১)
আবু জেহেলের ধ্বংসের কারণ ছিল পদমর্যাদা, বংশ গৌরব আবু লাহাবের ধ্বংসের কারণ ছিল; সিংহাসন, আবু মুসলিমের ধ্বংসের কারণ ছিল; যশখ্যাতি, মুতানাব্বির ধ্বংসের কারণ ছিল, আর ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব ছিল হাজ্জাজের ধ্বংসের কারণ।
যে ব্যক্তি আল্লাহর নিকট সম্মান চায় এবং আমলে সালেহ করে আল্লাহ তাকে সম্মান দান করবেন এবং তাকে পদমর্যাদা দান করবেন, যদিও তার কোন সম্পদ, পদমর্যাদা বা অভিজাত বংশধারা নেই।
বিলালের সম্মানের কারণ ছিল আযান, আখেতার ছিল সাল্মানের সম্মানের কারণ; সুহাইবের সম্মানের কারণ ছিল তার কোরবানী বা ত্যাগ এবং আতা’র সম্মানের কারণ ছিল তার ইলেম (রাদি'আল্লাহু আনহুম)।
“এবং তিনি (আল্লাহ) কাফেরদের কথাকে হীনতম করেন; পক্ষান্তরে আল্লাহর কথাই উচ্চতম; আর আল্লাহ হলেন মহাপরাক্রমশালী, মহা প্রজ্ঞাময়।” (৯-সূরা তাওবা: আয়াত-৪০)