আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেছেন- “আল্লাহ যদি আমার চোখের জ্যোতি দূর করে দেন, তবুও আমার জিহ্বা ও কানে আলো আছে।
আমার হৃদয় বুদ্ধিদীপ্ত আর আমার মন বক্র নয়, আর আমার জিহ্বা বীরযোদ্ধার তরবারীর মতো ধারালো।
আপনার যদি কোনো ক্ষতি হয় তবে সম্ভবত: এরপরেই আপনার কোনো লাভ আছে- আর তা এমন লাভ যা আপনি বুঝতে পারেন না।
وَعَسَىٰ أَن تَكْرَهُوا شَيْئًا وَهُوَ خَيْرٌ لَّكُمْ
“এমনও হতে পারে যে তোমরা যা অপছন্দ কর তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর।” (২-সূরা বাকারা: আয়াত ২১৬)
বাশার ইবনে বুরদ বলেছেন- “আমার শক্ররা আমাকে অসম্মান করে অথচ দোষ তাদের মাঝেই। আর এটা এমন কোনো অপমান নয় যাকে দোষণীয় বলা যায়। কোনো লোক যদি সাহস ও সত্যকে দেখতে পায় তবে চোখের অন্ধত্ব প্রতিবন্ধক হবে না। অন্ধত্বের মাঝে আমি পুরস্কার, সঞ্চয় ও রক্ষা দেখতে পাই, আর এ তিনটি জিনিস আমার খুবই দরকার।”
যা আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেছেন অথবা যা বাশার বলেছেন তার মাঝে এবং যা সালেহ ইবনে আব্দুল কুদ্দুস অন্ধ হওয়ার পরে বলেছেন তার মাঝে তুলনা করে দেখুন-
“বিদায় পৃথিবী যে বৃদ্ধ অন্ধ,
এ জীবনে তার কোনো অংশই নেই।
সে মরে অথচ মানুষ তাকে জীবিত মনে করে।
শুরু থেকেই মিথ্যা আশা তাকে প্রতারিত করেছে।”
সকল স্বর্গীয় বিধানই ঘটবে- যে এটা স্বীকার করে তারও ঘটবে আর যে এসব অস্বীকার করে তারও ঘটবে। পার্থক্য হলো এই যে, যে এটা স্বীকার করে সে পুরস্কার পাবে আর যে এটা অস্বীকার করে সে পাপী হবে ও কষ্ট পাবে। উমার ইবনে আব্দুল আজীজ (রহঃ) মাইমুন ইবনে মেহরানের নিকট লিখেছেন: “আব্দুল মালেককে হারানোর কারণে আপনি আমাকে সান্ত্বনা দেয়ার জন্য লিখেছেন। এমন একটা ঘটনার জন্যই আমি অপেক্ষা করতে ছিলাম এবং যখন এমনটা সত্যিই ঘটে গেল তখন আমার আর কোনো সন্দেহই রইল না।”