একজন নাবিক সমুদ্রে পথ হারিয়ে ফেলেছিল এবং এভাবে একুশ দিন পথহারা ছিল। এ ঘটনায় সবচেয়ে বড় কি শিক্ষা সে পেয়েছে এ সম্বন্ধে একজন তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি উত্তর দিলেন, “এ ঘটনা থেকে সর্বাপেক্ষা বড় যে শিক্ষা আমি পেয়েছি তা হলো- পরিষ্কার পানি ও পর্যাপ্ত খাবার থাকলে কখনো অভিযোগ করা উচিত নয়।”
জোনাথন সুয়িফ্ট বলেছেন, “পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম কয়েকজন চিকিৎসক হলেন “যথাযথ খাদ্য-চিকিৎসক” “বিশ্রাম চিকিৎসক” এবং “সুখ চিকিৎসক”।”
জোনাথন সুয়িফটের মন্তব্যের কারণ হলো যে, স্থূলতা এমন এক তিরস্কারযোগ্য রোগ যা মানুষের মেধাকে ধ্বংস করে দেয়। পক্ষান্তরে, বিশ্রাম, সংযম ও সুখ হলো মন-মানসিকতা, আত্মা ও হৃদয়ের জন্য সন্তোষজনক পুষ্টিদায়ক উপাদান।
ড. স্যামুয়েল জনসন বলেছেন- “প্রত্যেক পরিস্থিতির উজ্জ্বল দিকটি দেখার অভ্যাস বিশাল আয়ের চেয়েও বেশি মূল্যবান।”
أَوَلَا يَرَوْنَ أَنَّهُمْ يُفْتَنُونَ فِي كُلِّ عَامٍ مَّرَّةً أَوْ مَرَّتَيْنِ ثُمَّ لَا يَتُوبُونَ وَلَا هُمْ يَذَّكَّرُونَ
“তারা কি দেখে না যে, তাদের প্রতি বছর একবার বা দু’বার (বিভিন্ন বালা-মুসিবত, বিপদ-আপদ, দুঃখ-দুর্দশা, রোগ-শোক, দুর্ভিক্ষ, অভাব-অনটন ইত্যাদি দ্বারা) পরীক্ষা করা হয়ঃ তবু তারা তওবা করে না এবং (এ থেকে) শিক্ষা গ্রহণ করে না।” (৯-সূরা তাওবা: আয়াত-১২৬)
আমাদের একজন ধাৰ্মিক পূর্বসূরী কোনো একজনকে লক্ষ্য করে বলেছেন- “আমি তোমার উপর কল্যাণের চিহ্ন দেখতে পাচ্ছি; কৃতজ্ঞ হয়ে তোমার কল্যাণকে তালা দিয়ে রাখ ও সেগুলোকে নিরাপদে রাখ।”
“তখনকার কথা স্মরণ কর যখন তোমার প্রভু ঘোষণা করেছিল, যদি তোমরা (ঈমান গ্রহণ করেও একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করে) কৃতজ্ঞ হও, তবে আমি অবশ্যই অবশ্যই তোমাদের অধিক দান করব; আর যদি তোমরা (কুফুরি করে) অকৃতজ্ঞ হও তবে (জেনে রাখ) আমার শাস্তি সাংঘাতিক।” (১৪-সূরা ইবরাহীম: আয়াত-৭)
“এবং আল্লাহ এক জনপদের দৃষ্টান্ত পেশ করলেন-যা ছিল নিরাপদ ও নিশ্চিন্ত, সবখান থেকে এখানে প্রচুর রিযিক আসত। অতঃপর (এ জনপদের অধিবাসীরা) আল্লাহর নেয়ামতের কুফুরি করল। তাই আল্লাহ একে (অর্থাৎ এ জনপদের অধিবাসীদেরকে) তারা যা করত তার বদলাস্বরূপ চরম ক্ষুধা ও ভয়ের স্বাদ গ্রহণ করালেন।” (১৬-সূরা আন নাহল: আয়াত-১১২)