وَلِكُلٍّ وِجْهَةٌ هُوَ مُوَلِّيهَا فَاسْتَبِقُوا الْخَيْرَاتِ
“প্রত্যেক জাতির জন্যই একটি দিক আছে যেদিকে সে মুখ করে। অতএব, তোমরা নেক কাজে প্রতিযোগিতা কর।” (২-সূরা বাকারা: আয়াত-১৪৮)
“এবং তিনিই তোমাদেরকে (একের পর এক আগমনকারী, একের স্থলে অন্যকে স্থাপন করে) পৃথিবীতে প্রতিনিধি করে পাঠিয়েছেন এবং তোমাদের কাউকে মর্যাদায় অন্যের উপরে স্থান দিয়েছেন।” (৬-সূরা আল আন’আম: আয়াত-১৬৫)
قَدْ عَلِمَ كُلُّ أُنَاسٍ مَّشْرَبَهُمْ
প্রতিটি (দল) লোকই তাদের পানির ঘাট চিনে নিয়েছিল।” (২-সূরা বাকারা: আয়াত-৬০)
“প্রতিটি লোকেরই তার নিজস্ব মেধা, যোগ্যতা, দক্ষতা ও পছন্দ-অপছন্দ আছে। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চরিত্রের একটি দিক ছিল তার পরিচালনা করার যোগ্যতা; তিনি সাহাবীদেরকে প্রত্যেকের মেধা ও যোগ্যতা অনুসারে কাজে লাগাতেন। আলী (রাঃ) সৎ ও বিজ্ঞ ছিলেন; তাই নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বিচারক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুয়ায (রাঃ)-কে ইলমের জন্য, উবাই (রাঃ)-কে কুরআনের জন্য, যায়িদ (রাঃ)-কে ফরায়েযের জন্য, খালিদ (রাঃ)-কে জিহাদের জন্য, হাসসান (রাঃ)-কে কবিতার জন্য এবং কায়েস ইবনে সাবিত (রাঃ)-কে জনসমক্ষে বক্তৃতা দেয়ার জন্য কাজে লাগিয়ে ছিলেন।
যে কোন কারণেই হোক, অন্যের ব্যক্তিত্বে নিজেকে বিলীন করে দেয়া আত্ম হত্যার শামিল। অন্যের প্রাকৃতিক স্বভাবকে অনুকরণ করা নিজেকে মৃত্যুর আঘাত হানার শামিল। আল্লাহর যে সমস্ত নিদর্শনাবলিতে সকলের বিক্ষিত হওয়া উচিত তার মধ্যে মানুষের বিভিন্ন বৈশিষ্টাবলি অন্যতম যেমন তাদের মেধা, তারা যে বিভিন্ন ভাষায় কথা বলে তা এবং তাদের বিভিন্ন রং। উদাহরণস্বরূপ, আবু বকর (রাঃ) তার ভদ্রতা ও উদারতার মাধ্যমে ইসলাম ও মুসলিম জাতির অনেক উপকার করেছেন। অপর পক্ষে, ওমর (রাঃ) তার দৃঢ় আচরণ, কঠোর আত্মসংযম ও অনাড়ম্বতার দ্বারা ইসলাম ও এর অনুসারীদেরকে সাহায্য করেছেন। তাই আপনার সহজাত প্রতিভা ও অক্ষমতাতে সন্তুষ্ট থাকুন। সেগুলোকে উন্নত করুন। সেগুলোকে প্রসারিত করুন এবং সেগুলো হতে উপকৃত হোন।
لَا يُكَلِّفُ اللَّهُ نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا
“আল্লাহ কারো উপর তার সাধ্যাতীত বোঝা চাপান না।” (২-সূরা বাকারা: আয়াত-২৮৬)