জিকির সম্বন্ধে আল্লাহ বলেন-
أَلَا بِذِكْرِ اللَّهِ تَطْمَئِنُّ الْقُلُوبُ
“নিশ্চয়, আল্লাহর জিকিরেই আত্মা প্রশান্তি লাভ করে।” (১৩-সূরা রাআদ: আয়াত-২৮)
“সুতরাং (প্রার্থনা, প্রশংসা ইত্যাদির মাধ্যমে) তোমরা আমাকে স্মরণ কর, তাহলে আমিও তোমাদেরকে স্মরণ করব।” (২-সূরা বাকারা: আয়াত-৫২)
“এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণকারী পুরুষ ও নারীদের জন্য আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা ও মহাপুরস্কার রেখেছেন।” (৩৩-সূরা আল আহযাব: আয়াত-৩৫)
“হে মু’মিনগণ! তোমরা বেশি করে আল্লাহর জিকির কর এবং সকাল-বিকাল (ফজরের সময় ও আসরের সময়) তার তসবীহ বা প্রশংসা পাঠ কর।” (৩৩-সূরা আল আহযাব: আয়াত-৪১-৪২)
“হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি যেন তোমাদেরকে আল্লাহর জিকির হতে অমনোযোগী করে না দেয়।” (৬৩-সূরা আল মুনাফিকূন: আয়াত-৯)
“এবং যখন তুমি ভুলে যাও তখন তুমি তোমার প্রভুকে স্বরণ করবে।” (১৮-সূরা আল কাহাফ: আয়াত-২৪)
“এবং যখন তুমি ঘুম থেকে উঠ তখন তুমি তোমার প্রভুর সপ্রশংস মহিমা ও পবিত্রতা ঘোষণা কর এবং রাত্রিকালে এবং তারকা অস্তগমনের পরেও তার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর।” (৫২-সূরা আত তুর: আয়াত-৪৮-৪৯)
“হে মু’মিনগণ! যখন তোমরা কোন শক্র বাহিনীর মোকাবেলা কর তখন বেশি বেশি আল্লাহর স্মরণ কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।” (৮-সূরা আনফাল: আয়াত-৪৫)
একখানি সহীহ হাদীসে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন –
“যে তার প্রভুর জিকির করে আর যে তার প্রভুর জিকির করে না এদের উদাহরণ হলো জীবিত ও মৃতের মতো।”
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-আরো বলেছেন-
سَبَقَ الْمُفَرِّدُونَ قَالُوا: وَمَا الْمُفَرِّدُونَ؟ يَا رَسُولَ اللهِ قَالَ: الذَّاكِرُونَ اللهَ كَثِيرًا، وَالذَّاكِرَاتُ
অনন্য ব্যক্তিবর্গ অন্যদেরকে ছাড়িয়ে গেছে।" সাহাবীগণ বললেন, “হে আল্লাহর রাসূল! কারা অনন্য ব্যক্তিবর্গ?” নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণকরে এমন নারী এবং পুরুষগণ ।”
আরেকটি বিশুদ্ধ হাদীসে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
أَلاَ أُخْبِرُكُمْ بِخَيْرِ، أَعْمَالِكُمْ وَأَرْفَعِهَا فِي دَرَجَاتِكُمْ وَأَزْكَاهَا عِنْدَ مَلِيكِكُمْ وَخَيْرٍ لَكُمْ مِنْ إِعْطَاءِ الذَّهَبِ وَالْوَرِقِ وَخَيْرٍ لَكُمْ مِنْ أَنْ تَلْقَوْا عَدُوَّكُمْ فَتَضْرِبُوا أَعْنَاقَهُمْ وَيَضْرِبُوا أَعْنَاقَكُمْ قَالُوا بَلَى . قَالَ ذِكْرُ اللَّهِ تَعَالَى
“তোমাদের প্রভুর নিকট তোমাদের যে কাজ সর্বোত্তম ও পবিত্রতম, যা (সৎ কাজে) তোমাদের সোনারূপা ব্যয় করার চেয়েও ভালো এবং যা (জেহাদের সময়) তোমাদের শক্রদের মোকাবেলা করে তাদের গর্দান উড়িয়ে দেয়া ও তারা তোমাদের গর্দান উড়িয়ে দেয়ার চেয়েও উত্তম তার সংবাদ আমি কি তোমাদেরকে দেব না?” সাহাবীগণ বললেন, “অবশ্যই! হে আল্লাহর রাসূল!” নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “আল্লাহর জিকির।”
একখানি সহীহ হাদীসে আছে-
“নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে একজন লোক এসে বলল: “হে আল্লাহর রাসূল! আমার পক্ষে ইসলামের বিধানসমূহ অনেক বেশি হয়ে গেছে, অথচ আমি বৃদ্ধ হয়ে গেছি, তাই আমাকে এমন (একটি সহজ) আমলের কথা জানিয়ে দিন- যা আমি সর্বদা করতে পারব।” নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “তোমার জিহ্বা যেন আল্লাহর জিকিরে সর্বদা (মশগুল থাকার ফলে) সিক্ত থাকে (তথা তাজা থাকে বা ব্যস্ত থাকে)।”