“নূহ (আঃ) তার জাতিকে বললেন, “তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর, নিশ্চয় তিনি মহা ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের জন্য প্রচুর বৃষ্টিপাত করবেন এবং তোমাদেরকে ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি দ্বারা সমৃদ্ধ করবেন এবং তিনি তোমাদের জন্য বাগ-বাগিচা ও নদী-নালা সৃষ্টি করবেন।” (৭১-সূরা আন নূহ: আয়াত-১০-১২)
সুতরাং, আল্লাহর নিকট অতি ঘনঘন ক্ষমা প্রার্থনা করুন এবং তাহলেই আপনি এ কাজের ফল পাবেন- আর তা হলো, মনের শান্তি, হালাল রিযিক, ধাৰ্মিক সন্তান-সন্ততি এবং প্রচুর বৃষ্টিপাত।
“আর তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের নিকট ইসতিগফার ও তওবা কর, তাহলে তিনি তোমাদেরকে এক নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত উত্তম সম্পদ ভোগ করতে দিবেন এবং প্রত্যেক গুণী ব্যক্তিকে তার প্রাপ্য মর্যাদা দিবেন।” (১১-সূরা হুদ: আয়াত-৩)
এখানে ‘গুণী ব্যক্তি’ বলতে তাকে বুঝানো হয়েছে, যে নাকি সশরীরে, শক্তি-সামর্থ্য দিয়ে, তার সম্পদ দিয়ে এবং এমনকি দুটি ভালো কথা বলেও অভাবী (পীড়িত ইত্যাদি) লোকদেরকে সাহায্য-সহযোগিতা ও তাদের সেবা-শুশ্রুষা করে।
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি প্রায়ই ইসতিগফার করে আল্লাহ তার প্রতিটি দুশ্চিন্তাকে স্বস্তিজনক করে দেন এবং প্রতিটি সমস্যা থেকে তাকে উদ্ধার করেন।”
বুখারী শরীফে একটি হাদীস আছে, যা ‘সায়্যেদুল ইসতিগফার’ নামে প্রসিদ্ধ।
اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي ، لا إِلَه إِلاَّ أَنْتَ خَلَقْتَني وأَنَا عَبْدُكَ ، وأَنَا على عهْدِكَ ووعْدِكَ ما اسْتَطَعْتُ ، أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ ما صنَعْتُ ، أَبوءُ لَكَ بِنِعْمتِكَ علَيَ ، وأَبُوءُ بذَنْبي فَاغْفِرْ لي ، فَإِنَّهُ لا يغْفِرُ الذُّنُوبِ إِلاَّ أَنْتَ
“(আর তা হলো) হে আল্লাহ। আপনি আমার প্রভু, আপনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই, এবং আমি আপনার বান্দা, আমি যথাসম্ভব আপনার অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতির ওপর আছি। আমি যে মন্দ কাজ করেছি তার জন্য আমি আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করি। আপনি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ দান করেছেন তা আমি আপনার নিকট স্বীকার করছি এবং আমার পাপের কথাও স্বীকার করছি; সুতরাং আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন; কেননা, আপনি ছাড়া অন্য কেউ পাপ মার্জনা করতে পারে না।”