নিচের হাদীসখানি তিরমিযী শরীফে পাওয়া যায়-
“সর্বোত্তম ইবাদত হলো (ধৈর্য সহকারে) স্বস্তির জন্য অপেক্ষা করা।”
أَلَيْسَ الصُّبْحُ بِقَرِيبٍ
“প্রভাত কি নিকটবর্তী নয়?”
দুর্দশাগ্রস্তদের প্রভাত আবির্ভূত হচ্ছে, সুতরাং এর জন্য অপেক্ষা করুন। একটি আরবী প্রবাদ আছে, “রশি যদি বেশি কষে তবে তা ছিড়ে যায়।”
অন্য কথায়, যদি কোন অবস্থা সংকটজনক স্তরে পৌছে যায় তবে আলো ও খোলা পথের প্রত্যাশা কর। আল্লাহ তা'আলা বলেন-
“আর যদি কোন ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে তবে আল্লাহ তার পাপসমূহ ক্ষমা করে দিবেন এবং তাকে মহাপুরস্কার দিবেন।” (৬৫-সূরা আত তালাক্ব: আয়াত-৫)
“আর যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে- আল্লাহ তার কাজ সহজ করে দেন।" (৬৫-সূরা আত তালাক্ব : আয়াত-৪)
একখানি নির্ভরযোগ্য হাদীসে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর এ কথা বলেন-
“আমার বান্দা আমার প্রতি যেরূপ ধারণা পোষণ করে আমি (তার প্রতি) সেরূপই (আচরণ করি); সুতরাং, সে যেরূপ ইচ্ছা আমার প্রতি সেরূপই ধারণা পোষণ করুক।”
সর্বশক্তিমান আল্লাহ বলেন-
“অবশেষে যখন রাসূলগণ হতাশ হয়ে গেলেন আর মানুষেরা ধারণা করল, তাদেরকে (অর্থাৎ রাসূলদেরকে) মিথ্যা আশ্বাস দেয়া হয়েছে বা (নবীগণ ভাবলেন,) মানুষেরা তাদেরকে মিথ্যুক ভাবছে, তখন তাদের নিকট আমার সাহায্য আসল। অতএব, আমি যাকে ইচ্ছা করি সে মুক্তি পায়।” (১২-সূরা ইউসুফ : আয়াত-১১০)
জেনে রাখুন যে, কষ্টের সাথে অবশ্যই স্বস্তি আছে। কোন কোন মুফাচ্ছির বা কুরআনের ব্যাখ্যাকার বলেন, “একটি সঙ্কট দু'টি আরামকে ছাড়িয়ে যেতে পারে না।” এবং এ কথাকে তারা হাদীস মনে করেন।
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
“জেনে রাখ যে ধৈর্যের মাধ্যমে বিজয় আসে এবং কষ্টের মাধ্যমে আরাম আসে।”
একজন আরবী কবি বলেছেন-
“যখন নাকি কিছু চোখ ঘুমিয়ে আছে তখন কিছু আঁখি আছে বিশ্রামহীন,
কী ঘটবে আর কী ঘটবে না তা নিয়ে গভীর ধ্যানেমগ্ন;
অতএব, যথাসম্ভব দুশ্চিন্তা ত্যাগ কর;
কেননা, দুশ্চিন্তার বোঝা বহন করা পাগলামি।
তোমার প্রভু আছেন, যিনি তোমার গতকালের সমস্যা সমাধান করেছেন,
তিনিই আগামীকালও তোমার যা সমস্যা হবে তা সমাধান করবেন।”
আরেক আরবী কবি বলেছেন-
১. “ঘটনা প্রবাহকে তার পূর্বনির্ধারিত পথে চলতে দাও, আর দুশ্চিন্তামুক্ত মন নিয়ে ঘুমাও।
২. কেননা, আল্লাহ এক পলকের মধ্যে অবস্থার পরিবর্তন করে দেন।