দুঃখ করবেন না। আপনি যদি গরীব হয়ে থাকেন, তবে কেউ না কেউ ঋণে জর্জরিত হয়ে আছে (তার কথা ভেবে দেখুন)। আপনার যদি যাতায়াত ভাড়া না থাকে তবে অন্য কারো তো পা-ই নেই। রোগ-যন্ত্রণার অভিযোগ করার যুক্তি বা কারণ যদি আপনার থেকেও থাকে তবে অন্য কেউ তো বছরের পর বছর রোগ-শয্যায় পড়ে আছে। আপনি যদি একটি সন্তান হারিয়ে থাকেন তবে অন্য কেউ তো সামান্য গাড়ি দুর্ঘটনায় কয়েক সন্তান হারিয়েছে।
দুশ্চিন্তা করবেন না। আপনি তো এমন একজন মুসলমান, যিনি আল্লাহতে, তার নবী-রাসূলগণে, তার ফেরেশতাকুলে, আখেরাতে এবং তকদীরের ভালো-মন্দে বিশ্বাস করেন।
যখন নাকি আপনি সর্বোত্তম দৌলত ঈমানের বদৌলতে ধন্য, তখন অন্যরা আল্লাহতে অবিশ্বাস, নবী-রাসূলগণকে অস্বীকার, কিতাব সম্বন্ধে নিজেদের মাঝে মতভেদ ও আখেরাতকে অস্বীকার করেছে এবং ঐশী পূর্বনির্ধারণী বা এলাহী তকদীরকে ভুল বুঝেছে।
দুশ্চিন্তগ্রস্ত হবেন না, যদি হন, তবে আপনি আপনার মন-মানসিকতার ক্ষতি করবেন এবং আপনার ঘুম বিনষ্ট করবেন।
একজন আরব কবি বলেছেন-
ولرُبٌّ نازلةٍ يضيق بها الفتى * ذرعاً وعند الله منها المخرجُ
ضاقت فلما استحكمت حلقاتها * فُرجت وكان يظنها لا تُفرجُ
“যুবকরা কতইনা মসিবতে পড়ে নাজেহাল হয়, অথচ আল্লাহর নিকট এর পরিত্রাণের উপায় আছে।”
“অবস্থা অসহ্যকর হয়ে যায় তারপর যখন রশি শক্তভাবে কষে তখন রশি ছিড়ে যায়, অথচ তারা ভাবতো যে রশি ছিড়বে না।”