“কিন্তু সে দিন (কেয়ামতের দিন) মু’মিনগণ কাফিরদের প্রতি (বিদ্রুপের হাসি) হাসবে।” (সূরা-৮৩ আল মুতাফফিফীন: আয়াত-৩৪)
যে ব্যক্তি আরবদের মাঝে তার হাসির জন্য প্রসিদ্ধ ছিল আরবরা তার সম্বন্ধে উচ্চ ধারণা পোষণ করত। তারা এ হাসিকে উদার ও মহান ব্যক্তিত্ব, মহৎ মানসিকতা ও পরিষ্কার মনের লক্ষণ বলে বিশ্বাস করত।
সত্যকথা হলো যে, ইসলামের মূলনীতি মিতাচার ও সুপরিমিতির উপর প্রতিষ্ঠিত। তা ঈমান, ইবাদত, চাল-চলন বা আচার-ব্যবহারের বিষয় বা যাই হোক না কেন। ইসলাম ভ্ৰকুঞ্চিত ও গোমরামুখ সহ্য করে না আবার সর্বদা লীলাপরায়ণ ইন্দ্রিয় বিলাসিতাও সহ্য করে না। বরং ইসলাম যা প্রবর্তন করে তা হলো, প্রয়োজনে গাম্ভীর্য এবং প্রয়োজনে যুক্তিসঙ্গত মাত্রায় হাসি-খুশি।
“তারপর সে ভ্ৰকুঞ্চিত করল ও গোমরা মুখে তাকাল।” (৭৪-সূরা আল মুদদাছছির: আয়াত-২২)
لَا تَحْقِرَنَّ مِنَ الْمَعْرُوفِ شَيْئًا، وَلَوْ أَنْ تَلْقَى أَخَاكَ بِوَجْهٍ طَلْقٍ
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যতই সামান্য হোক না কেন, কোন নেক আমলকে তুচ্ছ ভাববে না, এমনকি তা যদি তোমার ভাইয়ের সাথে প্রসন্ন মুখভাব নিয়ে (হাসিমুখে) সাক্ষাৎ করাও হয়।”
আহমদ আমীন তার ‘ফয়যুল খাতির’ নামক পুস্তকে বলেছেনঃ “যারা সদা হাসি-খুশি তারা তাদের নিজের জীবনকে শুধু অধিকতর আনন্দময়ই করে তোলে না, অধিকন্তু তারা তাদের কাজে অধিকতর উৎপাদনশীল এবং তাদের দায়িত্ব পালনে তাদের অধিকতর সক্ষমতা রয়েছে। সমস্যার মুকাবিলা করতে এবং তাদের জন্য সুবিধাজনক সমাধান খুঁজে বের করতে তারা অধিকতর উপযোগী। তারা অতি উর্বর ও প্রচুর পরিমাণে উৎপাদনকারী এমন কর্মচারী যারা নিজেদেরকে ও অন্যদেরকে লাভবান করে।”
আমাকে যদি সামাজিক মর্যাদা ও প্রচুর অর্থকড়ি এবং সুখী, আলোকিত ও হাসি-খুশি ব্যক্তিত্ব এতদুভয়ের মধ্যে একটিকে বেছে নেয়ার এখতিয়ার দেয়া হতো তবে আমি পরেরটিকে বেছে নিতাম। কারণ, প্রচুর সম্পদ যদি দুঃখ-কষ্টের সূত্রপাত করে, তবে তা কিসের সম্পদ? উচ্চ মর্যাদা যদি সদা বিষণ্ণতা বয়ে আনে, তবে তা কিসের উচ্চ মর্যাদা? পরমা সুন্দরী নারী যদি তার ঘরকে জ্বলন্ত নরকে রূপান্তরিত করে, তবে সে কিসের ভালো? যে স্ত্রী ঐ রূপসী নারীর মতো সৌন্দর্যের অনুপম পরাকাষ্ঠায় পৌছেনি তবুও তার গৃহকে এক ধরনের স্বর্গে পরিণত করেছে সে ঐ অনুপম রূপসী নারীর চেয়ে বহুগুণে, কম করে হলেও হাজারগুণ ভালো।
নিম্নোক্ত কল্পিত দৃশ্যাবলীর কথা একটু ভেবে দেখুন। এক হিসেবে গোলাপ হাসছে আর বনও হাসছে। সাগর-মহাসাগর, নদ-নদী, আকাশ, তারকারাজি আর পাখ-পাখালি সবই হাসছে। অনুরূপভাবে মানব জাতিও তার প্রকৃতি অনুসারেই এক হাসি-খুশি সত্তা— যদি এই প্রাকৃতিক প্রবণতাকে বাধাদানকারী জিনিসগুলো না থাকত যেমন লোভ, স্বার্থপরতা ও এমন সব মন্দকাজ, যা ভ্ৰকুটি ঘটায়। এ হিসেবে মানুষ অস্বাভাবিক ও তার চারপাশের সবকিছুর প্রাকৃতিক ঐকতানের সাথে বিরোধপূর্ণ।
সুতরাং যে ব্যক্তির আত্মা কলঙ্কিত সে বস্তুসমূহের প্রকৃতরূপ দেখতে পায় না। প্রতিটি ব্যক্তিই পৃথিবীকে তার নিজের সমগ্র সত্তার ভিতরে, তার কাজ-কর্মে, তার চিন্তা-ভাবনা ও তার প্রেরণা ও উদ্দেশ্যের মাঝে দেখে। আমাদের কাজ-কর্ম যদি মহৎ হয়, আমাদের চিন্তা-ভাবনা যদি বিশুদ্ধ হয় আর আমাদের চেতনা ও উদ্দেশ্য যদি সম্মানজনক হয় তবে যে চশমা (দৃষ্টিভঙ্গি) দিয়ে আমরা পৃথিবীকে দেখি তা পরিষ্কার হবে এবং পৃথিবী আসলে যেমন একটি সুন্দর সৃষ্টি তেমনি (সুন্দর) দেখা যাবে। চশমা যদি ময়লাযুক্ত ও দাগযুক্ত হয় তবে সবকিছুই কালো ও রুগ্ন দেখাবে।
কিছু মন আছে যারা সবকিছুকেই দুঃখ-কষ্টে রূপান্তরিত করতে পারে, যখন নাকি এমন কিছু মন আছে, যারা জটিলতম-কঠিনতম পরিস্থিতিতেও সুখের সন্ধান করে নিতে পারে। নারী জাতি তো আছেই। তাদের চোখ তো ভুল ছাড়া অন্য কিছুর উপর পড়েই না! (তারা বলে) আজকের দিনটি অশুভ, কারণ (আজ) একটি সুন্দর চীনামাটির প্লেট ভেঙ্গে গেছে বা বাবুর্চি (আজ) খাবারে অনেক বেশি লবণ দিয়েছে। তাই সে রাগে দাউ দাউ করে জ্বলে উঠে বাড়ির সবাইকে অভিশাপ বা গালাগাল দিতে থাকে।
সুতরাং মানুষেরাই তাদের নিজেদের উপর দুঃখ-কষ্ট নিয়ে আসে এবং তাদের স্বভাবের কারণে একই সমস্যা অন্যদের উপরও পূঞ্জীভূত করে। যে শব্দই সে শুনতে পায় সম্ভাব্য সর্বাপেক্ষা মন্দভাবে তার অর্থ করে। নগণ্যতম যে ঘটনা তাকে নিয়ে ঘটে, তাতেই সে গুরুতরভাবে ভেঙ্গে পড়ে। প্রত্যাশিত মুনাফা না হলেই তারা দুঃখ-কষ্টে পড়ে। তার দৃষ্টিতে গোটা দুনিয়াটাই কালো এবং তাই সে তার চারপাশের সবার জন্যই পৃথিবীটাকে কালো বানায়।
তাদের যা কিছু ঘটে, তাতেই তারা অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করার ক্ষমতা রাখে। তারা তিলকে তাল করে। তাদের ভালো কাজ করার ক্ষমতা অবহেলিত এবং তাদের যা আছে যদিও তা প্রচুর পরিমাণে আছে-তাতে তারা কখনও সুখী বা পরিতৃপ্ত নয়। তাদের বিত্তবিভব-সহায় সম্পদ যতই বিশাল হোক না কেন তারা কখনও তাতে কোনরূপ রহমতের কথা বুঝতে পারে না।
জীবন তো একটি শিল্পকলা বা বিজ্ঞানের মতোই। এই শিল্পকলা বা বিজ্ঞানকে শিখতে হয় এবং চর্চা করতে হয়। পকেটে বা একাউন্টে সহজে টাকা আসার পথকে পরিষ্কার করার জন্য সর্বশক্তি প্রয়োগ করে টাকা বাড়ানোর চেয়ে জীবনের প্রতি ভালোবাসার বীজ বপন করা অনেক বেশি ভালো। চারিত্রিক সৌন্দর্য, মহিমা-গৌরব ও স্রষ্টা ও সৃষ্টির প্রতি ভালোবাসা চর্চার প্রতি কোনরূপ চেষ্টা-তদবীর না করে যখন জীবনের সমস্ত শক্তি দিয়ে শুধুমাত্র সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়, তখন জীবনের কী মূল্য আছে?
অধিকাংশ লোকই জীবনের সৌন্দর্য্যের প্রতি চোখ মেলে তাকিয়ে দেখে না। শুধু সোনা-রূপার দিকে তাকিয়ে থাকে। তারা আরামপ্রদ ও বিলাসবহুল বাগান, সুন্দর ফুলশয্যা, বহমান নদী বা গানেরত পাখির বাকের মাঝেই তাদের জীবন অতিবাহিত করে। তবে এসব দৃশ্য দেখেও তাদের অন্তর আত্মা কেঁপে উঠে না। তাদের অন্তর শিহরিত হয় না। তাদের মনে সাড়া জাগে না।
তাদের পকেটে টাকা আসা আর যাওয়াই শুধু তাদের মনকে দোলা দেয় বা নাড়া দেয়। টাকা সুখী জীবনের একটি উপায় মাত্র, তারা এ সত্যকে উল্টে-পাল্টে দিয়েছে। তাদের সুখী জীবনকে বিক্রি করে দিয়েছে এবং টাকাকেই জীবনের চূড়ান্ত লক্ষ্য বানিয়েছে। সৌন্দর্যকে দেখার জন্য আমাদের শুধুমাত্র টাকার দিকেই তাক করেছি।
নৈরাশ্যের চেয়ে অধিকবার ও অধিক গভীরভাবে ভ্ৰকুটি করতে অন্য কিছুই পারে না। আপনি যদি একজন হাসি-খুশি ব্যক্তি হতে চান তবে নৈরাশ্য ও হতাশার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যান। আপনার ও অন্যদের জন্যে সুযোগের দরজা যেমন সর্বদা খোলা আছে, সাফল্যের দ্বারও তেমনি খোলা আছে। সুতরাং, ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধির আশা দিয়ে আপনার মনকে প্রলুব্ধ, উদ্বুদ্ধ, অনুপ্রাণিত, জাগরিত বা চেতনাপ্রাপ্ত করুন।
আপনি যদি মনে করেন যে, আপনি অকিঞ্চিতকর, তুচ্ছ বা নগণ্য এবং কম গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্যই আপনাকে সৃষ্টি করা হয়েছে, তবে আপনার জীবনের সাফল্য বা কৃতিত্ব কখনও এই প্রাথমিক লক্ষ্যকে ছাড়িয়ে যাবে না। আর যদি আপনি মনে করেন, আপনার জীবনের কর্মই হলো বিশেষ কৃতিত্ব অর্জন করা তবে আপনি আপনার মাঝে এমন এক দৃঢ় ইচ্ছাশক্তির অস্তিত্ব টের পাবেন, যা সকল বাধার প্রাচীরকে ভেঙ্গে চুরমার করে দিতে পারে। এ কথাটিকে নিম্নোক্তভাবে উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করা যেতে পারে।
যে লোক একশত মিটার দৌড় প্রতিযোগিতার অংশগ্রহণ করে, সে দৌড় শেষ করার পর মুহুর্তেই ক্লান্তিবোধ করবে। পক্ষান্তরে কেউ চারশত মিটার দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করলে সে একশত মিটার বা দুইশত মিটার চিহ্ন অতিক্রম করার পর ক্লান্তিবোধ করবে না। সুতরাং মনই দৃঢ় ইচ্ছা শক্তি জুগিয়ে দেয় এবং আপনার লক্ষ্যের অনুপাতে শক্তি যোগায়। এ কারণে আপনাকে অবশ্যই আপানার লক্ষ্য স্থির করতে হবে এবং তা হতে হবে উচ্চ (লক্ষ্য)। যতদিন পর্যন্ত সে লক্ষ্যে পৌছার পথে আপনি প্রতিদিনই একটি নতুন পদক্ষেপ ফেলবেন ততদিন পর্যন্ত কখনই হতাশাবোধ করবেন না। কিসে আত্মাকে ভ্ৰকুটি করে অন্ধকার কারাগারে বন্দী করে এর অগ্রগতিরোধ করে? উত্তর হলো-নৈরাশ্য, হতাশা, সবকিছুকেই মন্দ ভাবা, অন্যের দোষ অন্বেষণ করা এবং সবসময় পৃথিবীর দোষ বর্ণনা করা।
ধন্য সে ব্যক্তি, যে ব্যক্তির প্রাকৃতিক দক্ষতা ও গুণকে উন্নত করার জন্য এবং তার (জ্ঞান ও গুণের) পরিমণ্ডলসমূহকে প্রশস্ত করার জন্য একজন সাহায্যকারী শিক্ষক আছে। সর্বোত্তম শিক্ষক তিনিই, যিনি তার ছাত্রের মাঝে দয়া ও উদারতা ধীরে ধীরে সঞ্চার করেন। মানুষ যে সর্বোত্তম কাজের জন্য চেষ্টা করতে পারে তা শিক্ষা দেন আর তা হল, সাধ্যানুসারে অন্যের উপকার করা। আত্মাকে সূর্যের মতো আলো বিকিরণকারী ও আশাপ্রদ হতে হবে। আত্মাকে কোমলতা, পুণ্য বা সদগুণ, বদান্যতা এবং যারা কল্যাণ পেতে চায় তাদের নিকট কল্যাণ ছড়িয়ে দেয়ার জন্য অকৃত্রিম ভালোবাসা দ্বারা পূর্ণ হতে হবে।
হাসি-খুশি লোকে সমস্যা দেখলে তা কাটিয়ে উঠতে ভালোবাসে। তিনি সমস্যা দেখলে হাসেন, সেগুলোর সমাধান করার সুযোগে প্রচুর আনন্দ লাভ করেন। ভ্ৰকুটিকারী ব্যক্তি যখন সমস্যার সম্মুখীন হয়, তখন সে সমস্যাকে বড় করে দেখে এবং এর ন্যায্যতা প্রতিপাদন করে করে সময় নষ্টের মাধ্যমে নিজের দৃঢ় প্রত্যয়কে খর্ব করে। সে জীবনে সফলতা চায়, তবে এর মূল্য দিতে (পরিশ্রম করতে) রাজি নয়, সে সব পথে দাত বের করা সিংহ দেখতে পায়। সে শুধু আকাশ থেকে স্বর্ণ বৃষ্টির অপেক্ষায় থাকে বা জমিন ফেটে কোন গুপ্তধন বেরিয়ে আসার প্রতীক্ষা করে।
জীবনে জটিল-কঠিন জিনিস তো আপেক্ষিক বিষয় মাত্র। কারণ, সাধারণ লোকের কাছে সবকিছুই কঠিন। অপরদিকে উল্লেখযোগ্য লোকের জন্য ভীষণ জটিলতা বলতে কিছুই নেই। যখন স্মরণীয় ব্যক্তিরা বাধা-বিপত্তি কাটিয়ে নিজেদের মূল্য বৃদ্ধি করে, তখন দুর্বল ব্যক্তি সমস্যার ভয়ে পালিয়ে নিজের হীনতা বৃদ্ধি করে। সমস্যা হলো পাজি কুকুরের মতো। এটা আপনাকে ভীতু বা পলায়নকারী দেখতে পেলে ঘেউ ঘেউ করে এবং আপনার পিছু নেয়। অবশ্য, এটা আপনার অবজ্ঞা, নিরুদ্বিগ্নতা ও এটার দিকে আপনার চোখ রাঙানো দেখলে রণেভঙ্গ দিয়ে পিছু হটে যায়।
এতদ্ব্যতীত হীনমন্যতাবোধের চেয়ে বেশি মারাত্মক আর কোন কিছুই নেই। এটা এমনই অনুভূতি, যা হীনমন্য ব্যক্তিকে তার চেষ্টার চূড়ান্ত পর্যায় সকল বিশ্বাস হারাতে বাধ্য করে। তাই, যখনই সে কোন প্রকল্প শুরু করে তখনই সে এটাকে সমাপ্ত করার ব্যাপারে বা সফলতার ব্যাপারে সন্দিহান হয়ে পড়ে এবং এই সন্দেহকে প্রশ্রয় দিয়ে তদানুপাতে কাজ করে (অর্থাৎ প্রকল্প বাদ দেয়)। এভাবে সে ব্যর্থ হয়, আত্মবিশ্বাস থাকা এক মহৎ গুণ এবং এটা জীবনে সফলতার ভিত্তি।
এটা লক্ষ্য করা জরুরি যে, আত্মগরিমা ও আত্মবিশ্বাসের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য আছে। আত্মগৰ্ব বলতে বুঝায় প্রবঞ্চণাময় কল্পনার উপর এবং মিথ্যা গর্বের উপর নির্ভর করা। আর আত্মবিশ্বাস বলতে বুঝায়, সত্যিকার দক্ষতার উপর নির্ভর করা; এর অর্থ দায়িত্ব সম্পন্নকরণ, মেধা ও প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতাসমূহের উন্নতি সাধন। একটি হাসি, একটি হাসি-খুশি মুখ, সহজ রীতিনীতি-আচার-আচরণ এবং একটি ভদ্র, উদার আত্মা আমাদের সত্যিই কতই না অভাব! নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন
“অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা আমার নিকট এই মর্মে ওহী পাঠিয়েছেন যে, তোমাদের (এতটা) বিনীত হওয়া উচিত, যাতে একে অপরের উপর অত্যাচার না করে, একে অপরের উপর গর্ব না করে।”