হে মুহাম্মদ! বলুন, তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ কর।” (৬-সূরা আল আনআম: আয়াত-১১)
এখানে উল্লেখযোগ্য একটি কাজ আছে। কেননা এটা আপনাকে আনন্দ দান ও আপনার মাথার উপরের কালো মেঘ দূর করা; উভয় কাজই করে। এ কাজটি হল পৃথিবী ভ্রমণ করা ও সৃষ্টির উন্মুক্ত রহস্যাবলি অবলোকন করে দেখা এবং এর সকল বিস্ময়াবলীকে উপলব্ধি করা। আপনার ভ্রমণকালে আপনি চমৎকার ও সুন্দর সবুজ মাঠের বাগ-বাগিচা দেখতে পাবেন। আপনার ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়ুন ও আপনার চারপাশে যা আছে তা নিয়ে একটু ভেবে দেখুন। পাহাড়-পর্বতে আরোহন করুন, মাঠের পর মাঠ পাড়ি দিন, এ গাছ থেকে ঐ গাছে চড়ুন এবং সুমিষ্ট, বিশুদ্ধ ঝর্ণার পানি পান করুন। তাহলেই আপনি আপনার আত্মাকে পরমানন্দে গান গেয়ে গেয়ে আকাশে উড়ন্ত চলা পাখির মতোই স্বাধীন পাবেন। আপনার গৃহ ত্যাগ করুন, আপনার চোখের কালো চশমা খুলে ফেলুন। আর তারপর আল্লাহর জিকির ও তসবীহ পাঠ করে করে (আল্লাহর স্মরণ ও পবিত্রতা বর্ণনা করে করে), তার প্রশস্ত জমিনে ভ্রমণ করুন। মারাত্মক ধ্বংসাত্মক অলসতায় সময় বৃথা নষ্ট করে নিজেকে আপন গৃহে বন্দি করে রেখে নিজেকে ধ্বংস করা ছাড়া আর কিছু নয়। আপনার ঘরটাই পৃথিবীতে একমাত্র স্থান নয় আর আপনিও এ পৃথিবীর একমাত্র বাসিন্দা নন। তবে কেন আপনি দুর্দশা ও নির্জনতার কাছে আত্মসমর্পণ করবেন?
انْفِرُوا خِفَافًا وَثِقَالًا
“(স্বাস্থ্যবান, যুবক ও সম্পদশালী হওয়ার কারণে) হাল্কা হলেও এবং (অসুস্থ, বৃদ্ধ ও দরিদ্র হওয়ার কারণে) ভারী হলেও তোমরা বেরিয়ে পড়।” (৯-সূরা তাওবা: আয়াত-৪১)
আসুন, একটি পাহাড়ী ঝর্ণার পাশে বসে বা পাখিরা যখন গান করে তখন তাদের আসরের পাশে বসে কুরআন তিলাওয়াত করুন।
বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করা এমন এক কাজ যা চিকিৎসকগণ বিশেষ করে সেসব রোগীদের জন্য প্রেসক্রিপশন করেন-যারা নিজেদের ঘরের সংকীর্ণতার কারণে নিজেদেরকে সংকুচিত মনে করে।
“যারা আকাশসমূহ ও পৃথিবীর সৃষ্টি নিয়ে গভীর চিন্তা-গবেষণা করে, (আর বলে) হে আমাদের প্রতিপালক আপনি এ বিশ্বজগতকে বৃথা সৃষ্টি করেননি। আমরা আপনার পবিত্রতা বর্ণনা করছি।" (৩-সূরা আলে ইমরান: আয়াত-১৯১)