حَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ
“আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট, আর তিনি কতইনা উত্তম কর্মবিধায়ক!” (৩-সূরা আলে ইমরান: আয়াত-১৭৩)
আল্লাহর নিকট আপনার কাজকে সোপর্দ করে, তার উপর তাওাক্কুল করে, তার ওয়াদাকে বিশ্বাস করে, তার হুকুমের প্রতি সন্তুষ্টি হয়ে, তার প্রতি সুধারণা পোষণ করে এবং তার সাহায্যের জন্য ধৈর্যসহকারে অপেক্ষা করে আপনি ঈমানের কিছু মহাফল লাভ করতে পারবেন এবং ঈমানদারের অধিকতর উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করতে পারবেন। যখন আপনি আপনার চরিত্রে এ গুণসমূহকে সংযুক্ত করে নিবেন, তখন আপনি আগামী দিনগুলোতে কোন দুশ্চিন্তা না করে বরং শান্তিতে জীবন-যাপন করতে পারবেন। ফলে আপনি নিজের প্রতি যত্ন, সাহায্য, রক্ষণাবেক্ষণ ও বিজয় লাভ করবেন।
ইব্রাহীম (আঃ)-কে যখন আগুনে ফেলা হয়েছিল, তখন তিনি বলেছিলেন, “আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট, আর তিনি কতইনা উত্তম অভিভাবক।” ফলে আল্লাহ তায়ালা আগুনকে ইব্রাহীমের (আঃ)-এর জন্য শীতল, নিরাপদ ও শান্তিদায়ক বানিয়ে দিয়েছিলেন।
নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সঙ্গীদেরকে যখন আক্রমণের হুমকি দেয়া হয়েছিল, তখন তারা বলেছিলেন, “আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট, আর তিনি কতই না উত্তম অভিভাবক।” (৩-সূরা আলে ইমরান: আয়াত-১৭৩)
“ফলে তারা আল্লাহর নিয়ামত ও অনুগ্রহসহ ফিরে এসেছিলেন। কোন অনিষ্টই তাদেরকে স্পর্শ করেনি এবং তারা আল্লাহর সন্তুষ্টির অনুসরণ করেছিল। আর আল্লাহ তো মহা অনুগ্রহশীল।” (৩-সূরা আলে ইমরান: আয়াত-১৭৪)
কোন লোকই দুর্ভাগ্যের স্রোতের বিরুদ্ধে একাকী লড়াই করতে পারে না, দুর্বিপাক যখন আঘাত হানে, তখন সে এর আঘাতকে একাকী প্রতিহতও করতে পারে না। কারণ, মানুষকে দুর্বল করে সৃষ্টি করা হয়েছে। যাহোক, সঙ্কটের সময়ে ঈমানদার ব্যক্তি যখন তার প্রভুর উপর ভরসা (তাওাক্কুল) ও ঈমান (বিশ্বাস) রাখে তখন সে জানে যে, সব সঙ্কট নিরসন সম্ভব।
“আর যদি তোমরা সত্যিকার মু’মিন হয়ে থাকে, তবে আল্লাহর উপর ভরসা রাখ।” (৫-সূরা মায়িদা: আয়াত-২৫)
আপনারা যারা নিজেদের কল্যাণ করতে চান, তারা নিজেদের বিপর্যয় ও দুর্বিপাক থেকে রক্ষা করার জন্য সর্বশক্তিমান ও সর্বাপেক্ষা উত্তম অভিভাবক আল্লাহর উপর নির্ভর করুন এবং আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট। আর তিনি কতই না উত্তম অভিভাবক!-এ নীতিবাক্য অনুসারে জীবন যাপন করুন।
আপনি যদি ঋণগ্রস্ত থাকেন বা আপনি যদি কোন পার্থিব সঙ্কটে পতিত হন তবে ডাক দিয়ে বলুন, “আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট, তিনি কতই না উত্তম অভিভাবক!!
আপনি যদি শক্রর কবলে পড়ে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন বা অত্যাচারীর অত্যাচারে ভয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন তবে উচ্চস্বরে বলুন, “আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট, আর তিনি কতই না উত্তম অভিভাবক!”
وَكَفَىٰ بِرَبِّكَ هَادِيًا وَنَصِيرًا
“আর তোমার প্রভুই পথ প্রদর্শক ও সাহায্যকারী হিসেবে যথেষ্ট।” (২৫-সূরা আল ফুরকান : আয়াত-৩১)