أَلَا بِذِكْرِ اللَّهِ تَطْمَئِنُّ الْقُلُوبُ
জেনে রাখ! আল্লাহর জিকির করেই হৃদয় প্রশান্তি লাভ করে। (১৩-সূরা রাআদ: আয়াত ২৮)
সততা আল্লাহর প্রিয় এবং আত্মাকে পরিষ্কার করার সাবান। আর আল্লাহর জিকির ছাড়া এমন কোন কাজ নেই যা আত্মাকে এমন শান্তি দিতে পারে যার পুরস্কার এর চেয়ে বেশি।
فَاذْكُرُونِي أَذْكُرْكُمْ
“অতএব আমাকে স্মরণ কর, আমিও তোমাদেরকে স্মরণ করব।" (২-সূরা বাকারা: আয়াত-১৫২)
আল্লাহর জিকির (স্মরণ)-ই দুনিয়াতে তার বেহেশত। আর এতে যে প্রবেশ করেনি সে আখেরাতের বেহেশতে প্রবেশ করতে পারবে না। জিকির শুধুমাত্র এ পৃথিবীর সমস্যা ও উদ্বিগ্নতা থেকে এক নিরাপদ স্বৰ্গই নয়; অধিকন্তু, চূড়ান্ত সাফল্য লাভের এক সংক্ষিপ্ত ও সহজ পথও বটে। আল্লাহর জিকির সম্বন্ধে বিভিন্ন আয়াত পড়ে দেখুন তাহলেই আপনি এর উপকারিতা বুঝতে পারবেন।
যখন আপনি আল্লাহর জিকির করবেন তখন দুশ্চিন্তা ও ভয়ের কালো মেঘ দূরীভূত হয়ে যাবে ও আপনার সমস্যার পাহাড় সরে যাবে।
যারা আল্লাহর জিকির করেন তারা শান্তিতে আছেন বা থাকেন- একথা শুনে আমাদের আশ্চর্য হওয়া উচিত নয়। যা সত্যিই আশ্চর্য তা হল অবহেলাকারীরা ও অমনোযোগীরা তাকে স্মরণ না করে কীভাবে বেঁচে থাকে।
“তারা নিষ্প্রাণ, নির্জীব আর তারা জানেনা কখন তাদেরকে পুনরুথিত করা হবে।” (১৬-সূরা আন নাহল: আয়াত-২১)
ওহে! যে নাকি বিনিদ্র রজনীর অভিযোগ করে ও তার দুর্দশার ভয়ে আতঙ্কগ্ৰস্ত, তার পবিত্র নাম ধরে ডাকুন।
هَلْ تَعْلَمُ لَهُ سَمِيًّا
“তার মতো কারো কথা কি তোমরা জান?” (১৯-সূরা মারইয়াম: আয়াত-৬৫)
لَيْسَ كَمِثْلِهِ شَيْءٌ وَهُوَ السَّمِيعُ الْبَصِيرُ
তার মতো কিছুই নেই, তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্ৰষ্টা। (৪২-সূরা শুরা: আয়াত-১১)
তুমি আল্লাহকে যে পরিমাণ স্মরণ করবে, তোমার আত্মা সে পরিমাণই শান্ত ও সন্তুষ্ট হবে। তার জিকিরের অর্থই হলো তার ওপর পূর্ণ নির্ভরতা, সাহায্যের জন্য তার মুখাপেক্ষী হওয়া, তার সম্বন্ধে সুধারণা পোষণ করা এবং তার পক্ষ থেকে বিজয়ের অপেক্ষায় থাকা। সত্যিই যখন তার কাছে আবেদন করা হয় তখন তিনি নিকটেই থাকেন; যখন তাকে ডাকা হয় তিনি তখন শুনতে পান ও তার নিকট আকুল আবেদন করা হলে তিনি সাড়া দেন। তাই তার সামনে নিজেকে বিনীত কর ও একনিষ্ঠভাবে তার সাহায্য প্রার্থনা কর। বারবার তার কল্যাণময় (বরকতময়) নামের তাসবীহ পাঠ কর ও তার একমাত্র উপাস্য হওয়ার কথা উল্লেখ কর। তার প্রশংসা কর, তার নিকট কাকুতি-মিনতি করে প্রার্থনা কর ও তার নিকট ক্ষমা ভিক্ষা চাও, তাহলেই ইনশাআল্লাহ (আল্লাহ চাহে তো) তুমি সুখ, শান্তি ও অন্তরে আলোকস্ফুরণ পাবে।
فَآتَاهُمُ اللَّهُ ثَوَابَ الدُّنْيَا وَحُسْنَ ثَوَابِ الْآخِرَةِ
“তাই আল্লাহ তাদেরকে এ জগতের পুরস্কার ও পরকালের চমৎকার পুরস্কার দান করলেন।” (৩-সূরা আলে ইমরান: আয়াত ১৪৮)