“(তোমার দেবতাগণ ভালো) নাকি যিনি দুর্দশাগ্রস্তের ডাকে সাড়া দেন তিনি?” (২৭-সূরা আন নামল: আয়াত-৬২)
কার কাছে দুর্বল ও অত্যাচারিতরা বিজয় কামনা করে?
কার নিকট সকলে আকুল আবেদন করে? তিনি আল্লাহ। তিনি ছাড়া অন্য কারও উপাস্য হওয়ার অধিকার নেই।
অতএব, আমার ও আপনার কর্তব্য হল স্বচ্ছল ও অস্বচ্ছল উভয় অবস্থায়ই তাকে আহবান করা, তার নিকট সাহায্য প্রার্থনা করা, দুঃসময়ে তার কাছে আশ্রয় চাওয়া, অনুতপ্ত হয়ে কেঁদে কেটে তার দরবারে আরাধনা করা; তাহলেই তার সাহায্য দ্রুত আসবে।
“(তোমার দেবতাগণ ভালো) না কি যিনি দুর্দশাগ্রস্তের ডাকে সাড়া দেন তিনি?” (২৭-সূরা আন নামল: আয়াত-৬২)
তিনি ডুবন্ত ব্যক্তিকে রক্ষা করেন, মজলুমকে বিজয় দান করেন, পথহারাকে পথ দেখান, অসুস্থকে সুস্থ করেন, আর দুর্দশাগ্রস্তদের সাহায্য যোগান।
“যখন তারা জল জাহাজে (নৌযানে) চড়ে তখন তারা (আল্লাহর) দ্বীনের (ধর্মের) একনিষ্ঠ অনুসারী হয়ে তাকে (আল্লাহকে) বিনীতভাবে ডাকে।" (২৯-সূরা আল আনকাবূতঃ আয়াত-৬৫)
মানুষেরা দুর্দশা দূর করার জন্য যেসব আবেদন করে থাকে, আমি আপনাকে তার জন্য সুন্নাহের কিতাবের কথা বলছি। সে সব কিতাবে আপনি নবী প্রদত্ত দোয়া (প্রার্থনা) দেখতে পাবেন (ও শিখে নিবেন), তা দিয়ে আপনি আল্লাহ্কে ডাকতে পারবেন, তাঁর নিকট আকুল আবেদন জানাতে পারবেন এবং তার সাহায্য চাইতে পারবেন এবং যদি আপনি তার প্রতি আপনার ঈমান (বিশ্বাস) হারিয়ে ফেলেন তবে আপনি সব কিছু হারালেন। তার নিকট আকুল আবেদন করে আপনি সর্বোচ্চ ইবাদত করছেন। আপনি নিয়মিতভাবে, বিরতিহীনভাবে ও একনিষ্ঠভাবে প্রার্থনা করেন তবে আপনি দুশ্চিন্তা ও উদ্বিগ্নতা থেকে মুক্তি লাভ করবেন। তারটা ছাড়া সব রশিই কাটা, তারটা ব্যতীত সকল দ্বারই রুদ্ধ। তিনি নিকটবর্তী, তিনি সবকিছুই শুনতে পান ও যারা তার নিকট আকুল আবেদন করে তিনি তাদের ডাকে সাড়া দেন।
ادْعُونِي أَسْتَجِبْ لَكُمْ
“তোমরা আমাকে ডাক (আমার নিকট আকুল আবেদন কর) তাহলেই আমি তোমাদের আবেদনে সাড়া দিব।" (৪০-সূরা আল মু'মিন: আয়াত-৬০)
যদি আপনি দুঃখ-বেদনা নিয়ে বেঁচে থাকেন তবে আল্লাহকে স্মরণ করুন, তার তাসবীহ পাঠ করুন ও তার নিকট সাহায্য প্রার্থনা করুন। সত্যিকার মুক্তি পাওয়ার জন্য সেজদাহ করে তাঁর প্রশংসা জ্ঞাপন করুন। দু'হাত তুলে নাছোড় বান্দা হয়ে তার নিকট সাহায্য প্রার্থনা করুন। তার দরজায় ধরনা ধরুন, তার সম্বন্ধে সুধারণা রাখুন এবং তার সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করুন তাহলেই আপনি সত্যিকার সুখ ও সাফল্য লাভ করবেন।