রমলের অর্থ হচ্ছে, ঘনঘন পা ফেলে শরীর দুলিয়ে বীরদর্পে দ্রুত চলা। ইযতিবার অর্থ হচ্ছে, চাদর ডান বগলের নিচে রেখে ডান কাঁধ উন্মুক্ত রাখা। রমল ও ইযতিবা শুরু হয় সপ্তম হিজরীতে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ষষ্ঠ হিজরীতে মক্কার মুশরিকদের সাথে সন্ধি করে হুদায়বিয়া থেকে উমরা না করেই মদীনায় ফিরে যান। হুদায়বিয়ার সন্ধি অনুযায়ী পরবর্তী বছর যিলকদ মাসে তিনি উমরা করার উদ্দেশ্যে আবার মক্কায় আসেন। এ বছর সাহাবীদের কেউ কেউ জ্বরাক্রান্ত হয়েছিলেন। ইবন আব্বাস রা. এর বর্ণনা থেকে বুঝা যায় যে, মক্কার মুশরিকরা মুসলমানদেরকে নিয়ে ব্যঙ্গ করে এভাবে বলাবলি করতে লাগল,
إِنَّهُ يَقْدَمُ عَلَيْكُمْ وَقَدْ وَهَنَهُمْ حُمَّى يَثْرِبَ فَأَمَرَهُمُ رسول اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَرْمُلُوا الأَشْوَاطَ الثَّلاَثَةَ ، وَأَنْ يَمْشُوا مَا بَيْنَ الرُّكْنَيْنِ وَلَمْ يَمْنَعْهُ أَنْ يَأْمُرَهُمْ أَنْ يَرْمُلُوا الأَشْوَاطَ كُلَّهَا إِلاَّ الإِبْقَاءُ عَلَيْهِمْ.
‘এমন এক সম্প্রদায় তোমাদের কাছে আসছে, ইয়াছরিবের [1] জ্বর যাদেরকে দুর্বল করে দিয়েছে।[2] একথা শুনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীদেরকে রমল অর্থাৎ ঘনঘন পা ফেলে শরীর দুলিয়ে বীরদর্পে দ্রুত চলার নির্দেশ দিলেন, যাতে মুশরিকরা বুঝে নেয় যে, মুমিন কখনো দুর্বল হয় না। একই উদ্দেশ্যে তিনি রমলের সাথে সাথে ইযতিবা অর্থাৎ চাদর ডান বগলের নিচে রেখে ডান কাঁধ উন্মুক্ত রাখারও নির্দেশ দিলেন। সেই থেকে রমল ও ইযতিবার বিধান চালু হয়েছে।
[2]. বুখারী : ১৬০২; মুসলিম : ১২৬২।