জামরাতে কঙ্কর নিক্ষেপের ফযীলত
১. কঙ্কর নিক্ষেপের সওয়াব আখিরাতের জন্য সঞ্চিত থাকবে। ইবন উমর রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«وَأَمَّا رَمْيُكَ الْجِمَارَ فَإِنَّهُ مَذْخُورٌ لَكَ»
‘আর তোমার কঙ্কর নিক্ষেপ, তা তো তোমার জন্য সঞ্চিত করে রাখা হয়।[1]
২. কঙ্কর নিক্ষেপের সওয়াব চোখ জুড়ানো সওয়াব। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«وَأَمَّا رَمِيْكَ الْجِمَارَ قَالَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ ( فَلاَ تَعْلَمُ نَفْسٌ مَا أُخْفِيَ لَهُمْ مِنْ قُرَّةِ أَعْيُنٍ جَزَاءً بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ)»
‘আর জামরায় পাথর নিক্ষেপ, এ ক্ষেত্রে মহান আল্লাহর নিম্নের বাণীটি প্রযোজ্য, ‘অতঃপর কোনো ব্যক্তি জানে না তাদের জন্য চোখ জুড়ানো কী জিনিস লুকিয়ে রাখা হয়েছে, তারা যা করত, তার বিনিময়স্বরূপ’[2],[3]
৩. নিক্ষিপ্ত প্রতিটি কঙ্কর এক একটা গুনাহে কাবীরা মোচন করবে।
«وَأَمَّا رَمْيُكَ الْجِمَارَ فَلَكَ بِكُلِّ حَصَاةٍ رَمَيْتَهَا تَكْفِيْرُ كَبِيْرَةٍ مِنَ الْمُوْبِقَاتِ»
‘আর জামরায় তোমার কঙ্কর নিক্ষেপ, এতে তোমার নিক্ষিপ্ত প্রতিটি কঙ্করের বিনিময়ে এক একটা ধ্বংসকারী কবীরা গুনাহ মোচন করা হবে।’[4]
৪. নিক্ষিপ্ত প্রতিটি কঙ্কর কিয়ামতের দিন নূর হবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إذا رَمَيْتَ الجِمارَ كانَ لَكَ نُوراً يَوْمَ القِيامَةِ»
‘তুমি যখন কঙ্কর নিক্ষেপ কর, তোমার জন্য কিয়ামতের দিন নূর হবে।’[5]
[2]. সাজদাহ : ১৭।
[3]. সহীহুত-তারগীব ওয়াত-তারহীব : ১১১৩।
[4]. সহীহুত-তারগীব ওয়াত-তারহীব : ১১১২।
[5]. সহীহুত-তারগীব ওয়াত-তারহীব : ১৫৫৭।