১. আকাশ একেবারে ফর্সা হওয়ার পর সূর্যোদয়ের পূর্বেই মিনার দিকে রওয়ানা করবেন। উমর রা. মুযদালিফায় ফজরের সালাত আদায় করে বললেন, ‘মুশরিকরা সূর্য উদিত না হওয়া পর্যন্ত মুযদালিফা ত্যাগ করত না। আর তারা বলতো,

أَشْرِقْ ثَبِيرُ كَيْمَا نُغِيرُ وَكَانُوا لَا يُفِيضُونَ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ فَخَالَفَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم «فَأَفَاضَ قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ»

‘হে ছাবীর[1] তুমি সূর্যের কিরণে আলোকিত হও, যাতে আমরা দ্রুত প্রস্থান করতে পারি, আর তারা সূর্যোদয়ের পূর্বে প্রস্থান করত না; কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের বিপরীত করেছেন এবং সূর্যোদয়ের পূর্বেই প্রস্থান করেছেন।’[2]

২. তালবিয়া ও তাকবীর পাঠ করা অবস্থায় মিনার দিকে চলতে থাকবেন। ওয়াদি মুহাস্‌সারে[3] পৌঁছলে একটু দ্রুত চলবেন। বর্তমানে মানুষ ও যানবাহনের ভিড়ের কারণে তা কঠিন হয়ে গেছে। তবে সুন্নতের অনুসরণের জন্য মনে মনে নিয়ত করবেন। সুযোগ হলে আমল করার চেষ্টা করবেন।

৩. বড় জামরায় কঙ্কর নিক্ষেপ আরম্ভ না করা পর্যন্ত তালবিয়া পাঠ করতে থাকবেন। ফযল রা. বলেন,

«أَنَّ النَّبِىِّ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَزَلْ يُلَبِّى حَتَّى رَمَى جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ».

‘নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জামরাতুল আকাবায় (বড় জামরায়) কঙ্কর নিক্ষেপের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত তালবিয়া পাঠ করছিলেন।’[4]

[1]. ছাবীর মুযদালিফায় অবস্থিত মক্কার সবচে’ বড় পাহাড়। সূর্যের আলো সে পাহাড়ে পড়লে সূর্য উদিত হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া যায় এবং মিনার উদ্দেশ্যে যাত্রা করা সহজ হয়। এ জন্য তারা ছাবীরের ওপর সূর্যের কিরণ পড়ে আলোকিত হওয়ার আহবান জানাত।

[2]. ইবন মাজাহ্‌: ৩০২২।

[3]. মিনা ও মুযদালিফার মধ্যবর্তী একটি স্থানের নাম। এ স্থানে আল্লাহ তা‘আলা আবরাহা ও তার হস্তি বাহিনীকে ধ্বংস করেছিলেন।

[4]. বুখারী ১৫৪৪, মুসলিম : ১২৮১।