যমযমের পানি সর্বোত্তম পানি : ইবন আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«خَيْرُ مَاءٍ عَلَى وَجْهِ الأَرْضِ مَاءُ زَمْزَمَ»
‘যমীনের বুকে যমযমের পানি সর্বোত্তম পানি।’[1]
যমযমের পানি বরকতময় : আবূ যর গিফারী রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إِنَّهَا مُبَارَكَةٌ»
‘নিশ্চয় তা বরকতময়।’[2]
যমযমের পানিতে রয়েছে খাদ্যের উপাদান : রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«طَعَامُ طُعْمٍ إِنَّهَا مُبَارَكَةٌ»
‘নিশ্চয় তা বরকতময়, আর খাবারের উপাদানসমৃদ্ধ।’
রোগের শিফা : ইবন আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«إِنَّهَا مُبَارَكَةٌ، طَعَامُ طُعْمٍٍٍ وَشِفَاءُ سُقْمٍٍ»
‘নিশ্চয় তা সুখাদ্য খাবার এবং রোগের শিফা।’[3]
যমযমের পানি যে উদ্দেশ্যে পান করবেন তা পূর্ণ হয় : জাবের ইবন আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«مَاءُ زَمْزَمَ لِمَا شُرِبَ لَهُ»
‘যমযমের পানি যে উদ্দেশ্যেই পান করা হয় তা সাধিত হবে।’[4]
যমযমের পানি সবচে’ দামি হাদিয়া : প্রাচীন যুগ হতে হাজী সাহেবগণ যমযমের পানি বহন করে নিয়ে যেতেন।
عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، «أَنَّهَا كَانَتْ تَحْمِلُ مِنْ مَاءِ زَمْزَمَ وَتُخْبِرُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ كَانَ يَحْمِلُهُ»
‘আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত যে, তিনি যমযমের পানি বহন করে নিয়ে যেতেন এবং বলতেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও তা বহন করতেন।’[5]
[2]. মুসলিম : ২৪৭৩।
[3]. মুসলিম : ২৪৭৩।
[4]. ইবন মাজাহ্ : ৩০৬২।
[5]. তিরমিযী: ৯৬৩।