জামরাতে কঙ্কর নিক্ষেপের উদ্দেশ্যে মুযদালিফা থেকে রওয়ানা

৭৩- অতপর তিনি সূর্য উঠার পূর্বেই ‘মুযদালিফা’[1] থেকে মিনার দিকে রওয়ানা হলেন।[2] ‘আর তিনি ছিলেন শান্ত ও সুস্থির।’[3]

৭৪- তিনি ফযল ইবন আব্বাসকে নিজের উটের পেছনে বসালেন। আর সে ছিল সুন্দর চুল, উজ্জল ফর্সার অধিকারী ব্যক্তি।

৭৫- রাসুলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মিনার দিকে রওয়ানা হলেন। তাঁর কাছ দিয়ে কতিপয় মহিলা চলতে লাগল, আর ফযল তাদের দিকে তাকাচ্ছিলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর হাত ফযলের চেহারায় রাখলেন। আর ফযল তার চেহারা অন্যদিকে ফিরিয়ে নিলেন। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর হাত অন্য দিক থেকে সরিয়ে ফযলের চেহারার ওপর আবার রেখে যেদিকে সে দেখছিল সেদিক থেকে তার চেহারা ঘুরিয়ে দিলেন।

৭৬- অবশেষে তিনি মুহাস্সার উপত্যকার কোলে[4] পৌঁছলে উটের গতি কিছুটা বাড়িয়ে দিলেন এবং বললেন,

«عَلَيْكُمُ السَّكِينَةُ»

‘তোমরা শান্ত ও সুস্থিরভাবে চল।’[5]

[1]. বাইহাকী।

[2]. সূর্যোদয়ের পূর্বে মুযদালিফা থেকে প্রস্থান মুশরিকদের আচারের সাথে ভিন্নতা সৃষ্টির লক্ষ্যেই ছিল, কেননা মুশরিকরা মুযদালিফা ত্যাগ করতো সূর্যোদয়ের পর। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাদের আদর্শ ওদের থেকে ভিন্ন।’

[3]. আবূ দাউদ।

[4]. এই জায়গাতে আবরাহার হস্তি বাহিনীকে আল্লাহ তা‘আলা ধ্বংশ করে দিয়েছিলেন। ইবনুল-কায়্যিম র. বলেন, মুহাস্সর মিনা ও মুযদালিফার মাঝখানে অবস্থিত। এটা মিনা ও মুযদালিফার অন্তর্ভুক্ত নয়।

[5]. দারমী।