৪৯- অতপর যখন তারবিয়া দিবস (যিলহজের আট তারিখ) হল, তাঁরা ‘তাদের আবাসস্থল বাতহা থেকে’[1] হজের ইহরাম বেঁধে মিনা অভিমুখে রওয়ানা হল।
৫০- জাবের রা. বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আয়েশার কাছে গেলেন। তিনি দেখতে পেলেন, আয়েশা কাঁদছে। রাসূল বললেন,
مَا شَانُكِ ؟ قَالَتْ : شَانِى أَنِّى قَدْ حِضْتُ وَقَدْ حَلَّ النَّاسُ وَلَمْ أَحْلِلْ وَلَمْ أَطُفْ بِالْبَيْتِ وَالنَّاسُ يَذْهَبُونَ إِلَى الْحَجِّ الآنَ. فَقَالَ «إِنَّ هَذَا أَمْرٌ كَتَبَهُ اللَّهُ عَلَى بَنَاتِ آدَمَ فَاغْتَسِلِى ثُمَّ أَهِلِّى بِالْحَجِّ ثُمَّ حُجِّى وَاصْنَعِى مَا يَصْنَعُ الْحَاجُّ غَيْرَ أَنْ لاَ تَطُوفِى بِالْبَيْتِ وَلاَ تُصَلِّى»
‘তোমার কি হয়েছে? আয়েশা বললেন, আমার হায়েয এসে গেছে। লোকজন হালাল হয়ে গিয়েছে কিন্তু আমি হালাল হতে পারি না। বায়তুল্লাহর তাওয়াফও করি না। অথচ সব মানুষ এখন হজে যাচ্ছে। রাসূল বললেন, এটা এমন একটি বিষয় যা আল্লাহ আদমের মেয়ে সন্তানদের ওপর নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সুতরাং তুমি গোসল করে নাও। অতপর হজের তালবিয়া পাঠ কর। ‘তারপর তুমি হজ কর এবং হজকারী যা করে তুমি তা কর। কিন্তু বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করো না এবং সালাত আদায় করো না[2]’[3] ‘অতপর তিনি তাই করলেন, কিন্তু বায়তুল্লাহ্র তাওয়াফ করলেন না।’[4]
৫১- আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উটের পিঠে আরোহন করলেন। তিনি ‘আমাদেরকে নিয়ে মিনাতে’[5] যোহর, আসর, মাগরিব, ইশা ও ফজরের সালাত আদায় করলেন।
৫২- অতপর তিনি কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলেন। এমনকি সূর্য উদয় হলো।
৫৩- তিনি নামিরা নামক স্থানে ‘তাঁর জন্য’[6] একটি পশমের তাবু স্থাপন করার নির্দেশ দিলেন।
[2]. এই হাদীস প্রমাণ করে যে, ঋতুবতী মহিলার জন্য কুরআন তেলাওয়াত করা জায়েয। নিঃসন্দেহে হজের সফরে কুরআন তেলাওয়াত করা অন্যতম উত্তম আমল। আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আয়েশা রা. কে তাওয়াফ ও সালাত আদায় ছাড়া সব আমল করার অনুমতি দিয়েছেন। যদি ঋতু অবস্থায় কুরআন তেলাওয়াত জায়েয না হত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অবশ্যই তাকে তা নিষেধ করতেন। হাদীস বিশারদগণ ‘নাপাক ও ঋতুবতী মহিলা কুরআন পড়বে না।’ হাদীসটি দুর্বল বলেছেন, অনেকে এটাকে মাওযু তথা ভিত্তিহীন বলেছেন। (ইরওয়াউল গালীল : ১৯১)
[3]. মুসনাদে আহমদ, আবূ দাউদ।
[4]. মুসনাদে আহমদ।
[5]. আবূ দাউদ।
[6]. আবূ দাউদ, ইবন মাজাহ্।