১। শির্ক (অতি মহাপাপ)
২। দুনিয়া কামানোর উদ্দেশ্যে ইল্ম শিখা
৩। শরয়ী ইল্ম গোপন করা
৪। বিশ্বাসঘাতকতা করা
৫। গণকের কথা বিশ্বাস করা
৬। গায়রুল্লাহর নামে যবেহ করা
৭। গায়রুল্লাহর নামে নযর মানা
৮। গায়রুল্লাহর নামে কসম করা
৯। যাদু করা
১০। আল্লাহর প্রতি কুধারণা রাখা
১১। মুসলিমের প্রতি কুধারণা রাখা
১২। মুসলিমকে বিনা দলীলে কাফের বলা
১৩। কাফেরকে কাফের না জানা
১৪। আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি মিথ্যা আরোপ করা
১৫। আল্লাহর আযাব থেকে নিজেকে নিরাপদ ভাবা
১৬। আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া
১৭। তকদীর অস্বীকার করা
১৮। তাবীয বাঁধা
১৯। প্রাণ হত্যা করা
২০। আত্নহত্যা করা
২১। যুলম করা
২২। অপমান ও অপদস্থ করা
২৩। মিথ্যা বলা
২৪। পরচর্চা বা গীবত করা
২৫। চুগলখোরী করা
২৬। গালি দেওয়া
২৭। মাদকদ্রব্য সেবন করা
২৮। মৃত বা হারাম পশুর মাংস খাওয়া
২৯। বাজে তর্ক করা
৩০। সত্য প্রত্যাখান করা
৩১। ঠাট্টা বা ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করা
৩২। গালি দেওয়া
৩৩। অহংকার করা
৩৪। নিজের প্রশংসা নিজেই করা
৩৫। অপরের দোষ খোঁজা
৩৬। মূর্তি বা ছবি তৈরী করা
৩৭। এতীমের মাল ভক্ষণ করা
৩৮। জুয়া (ফ্লাশ) খেলা
৩৯। লটারী খেলা
৪০। চুরি করা
৪১। আমানতে খেয়ানত করা
৪২। পরের সম্পদ আত্মসাৎ করা
৪৩। জমি-জায়গা দাবিয়ে নেওয়া
৪৪। ঘুস খাওয়া
৪৫। সূদ খাওয়া
৪৬। ওজনে নেওয়ার সময় বেশী এবং দেওয়ার সময় কম দেওয়া
৪৭। মিথ্যা কসম খাওয়া
৪৮। ধোকা দেওয়া
৪৯। কসম করে মাল বিক্রি করা
৫০। প্রতিশ্রুতি পালন না করা
৫১। চুক্তি ভঙ্গ করা
৫২। মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া
৫৩। সাক্ষ্য গোপন করা
৫৪। মালে ভেজাল দেওয়া
৫৫। প্রয়োজনের সময় মাল গুদামজাত করে রাখা
৫৬। অসিয়ত পালন না করা
৫৭। আল্লাহর ভাগ করা ভাগ্যে সন্তুষ্ট না হওয়া
৫৮। পুরুষের সোনা ও রেশম ব্যবহার
৫৯। পুরুষের গোড়ালীর নিচে কাপড় ঝুলিয়ে পরা
৬০। দান করে গেয়ে বেড়ানো
৬১। গান-বাজনা শোনা
৬২। ফরয নামায ত্যাগ করা
৬৩। সময় পার করে নামায পড়া
৬৪। লোক দেখিয়ে ইবাদত করা
৬৫। যাকাত না দেওয়া
৬৬। রোযা না রাখা
৬৭। হজ্জ না করা
৬৮। জিহাদ না করা
৬৯। জিহাদের ময়দানে পৃষ্ঠপ্রদর্শন করা
৭০। জুমআহ ত্যাগ করা
৭১। জামাআত ত্যাগ করা
৭২। সামর্থ্য থাকতে সৎকাজের আদেশ এবং মন্দকাজে বাধা না দেওয়া
৭৩। পেশাবের ছিটা থেকে না বাঁচা
৭৪। ইলম অনুযায়ী আমল না করা
৭৫। ব্যভিচার করা
৭৬। মাসিক অবস্থায় সহবাস করা
৭৭। পায়খানাদ্বারে সঙ্গম করা
৭৮। অবৈধ প্রেম করা
৭৯। সমকাম করা
৮০। হস্তমৈথুন করা
৮১। মিথ্যা অপবাদ দেওয়া
৮২। মহিলার বেপর্দা হওয়া
৮৩। পুরুষের নারীর মত এবং নারীর পুরুষের মত বেশ ধারণ করা
৮৪। দাড়ি চাঁছা
৮৫। মা-বাপের অবাধ্য হওয়া
৮৬। আত্মীয়তার বন্ধন ছেদন করা
৮৭। স্বামীর কথা না মানা
৮৮। পর্যাপ্ত কারণ ছাড়া তালাক দেওয়া
৮৯। পর্যাপ্ত কারণ ছাড়া তালাক নেওয়া
৯০। তালাক দেওয়ার পর স্ত্রীকে ফেরৎ নিতে হালালা বিবাহ দেওয়া ও করা
৯১। এগানা পুরুষ ছাড়া মহিলার একা সফর করা
৯২। পরের বাপকে বাপ বলা
৯৩। বাড়ির মহিলার ব্যাপারে ঈর্ষাহীন (ভেঁড়া) হওয়া
৯৪। প্রতিবেশীকে কষ্ট দেওয়া
৯৫। মহিলার ভ্রূ, মুখের লোম চাঁছা
৯৬। মহিলার পরচুলা ব্যবহার
৯৭। দেহ দেগে নক্সা করা
৯৮। দাঁত ঘষে ফাঁক ফাঁক করা
৯৯। কানাচি পেতে পরের গোপন কথা শোনা
১০০। শোকে মাতম করা
পরিশেষে স্মরণ করিয়ে দিই যে, ‘‘সর্বশ্রেষ্ঠ দ্বীন হল পরহেযগারী।’’[1] ‘‘সর্বশ্রেষ্ঠ দ্বীন হল, যা (পালন করা) সহজ।’’[2] ‘‘সেই (ধরনের) আমল আল্লাহর অধিক পছন্দনীয়, যে আমল নিরবচ্ছিন্নভাবে করে যাওয়া হয়; যদিও তা পরিমাণে কম হয়।’’[3]
আল্লাহর বান্দাদের নিকট পরীক্ষা নিয়ে দেখবেন যে, তাদের মধ্যে কে সবচেয়ে ভালো আমল করেছে। সুতরাং আমল যত বেশীই হোক, ভালো না হলে মূল্যহীন।
রাসুল (ﷺ) বলেন, ‘‘তোমরা মধ্যপন্থা অবলম্বন কর। যেহেতু আল্লাহ (সওয়াব দানে) বিরক্তিবোধ করবেন না, যতক্ষণ না তোমরা (আমলে) বিরক্তিবোধ ক’রে বসবে।’’[4]
‘‘তোমরা (আমলে) অতিরঞ্জন ও অবজ্ঞা প্রদর্শন করো না। তোমরা সুসংবাদ নাও ও জেনে রাখ যে, তোমাদের মধ্যে কেউই আর না আমি (আল্লাহর রহমত ছাড়া) নিজ আমলের বলে পরিত্রাণ পেতে পারব। যদি না আল্লাহ আমাকে তাঁর করুণা ও অনুগ্রহ দ্বারা আচ্ছাদিত করেন।’’[5]
‘‘যদি কোন ব্যক্তিকে আল্লাহর সন্তুষ্টির পথে তার জন্মদিন থেকে নিয়ে বৃদ্ধ হয়ে মৃত্যুদিন পর্যন্ত মাটির উপর উবুড় ক’রে টেনে নিয়ে বেড়ানো হয়, তবুও কিয়ামতের দিন সে তা তুচ্ছ মনে করবে!’’[6]
ফাল্লাহুল মুস্তাআন। আল্লাহ আমাকে ও আপনাকে নেক কাজ করার এবং বদ কাজ থেকে দূরে থাকার তওফীক দান করুন এবং ‘ইসলামী জীবনধারা’র উপর চলার প্রয়াস দান করুন। আমীন। অলা হাউলা অলা কুউঅতা ইল্লা বিল্লাহ।
وصلى الله على نبينا محمد وعلى آله وصحبه أجمعين
[2]. ঐ ৩৩০৯
[3]. বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১২৪২
[4]. সহীহুল জা’মে হা/২৭৪৭
[5]. আহমাদ, মুসলিম, ইবনে মাজাহ
[6]. আহমাদ প্রমুখ, সহীহুল জা’মে হা/৫২৪৯