আল্লাহর রাসুল (ﷺ) বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি এমন কোন মজলিসে বসে, যাতে তার শোর-গোল বেশী হয়ে থাকে, তবে ঐ মজলিস থেকে উঠার পূর্বে যদি সে (নিম্নের দু‘আ) বলে তবে উক্ত মজলিসে তার স্বকৃত গোনাহসমূহকে মার্জনা করা হয়। (দু‘আটি নিম্নেররূপ)ঃ
سُبْحَانَكَ اللّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ، أَشْهَدُ أَنْ لاَّ إِلهَ إِلاَّ أَنْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوْبُ إِلَيْكَ
‘সুবহা-নাকাল্লা-হুম্মা অবিহামদিকা আশহাদু আল লা ইলা-হা ইল্লা আন্তা আস্তাগফিরুকা অআতূবু ইলাইক্।’
অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আমি তোমার সপ্রশংস পবিত্রতা ঘোষণা করছি। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি ব্যতীত কেউ সত্য উপাস্য নেই। আমি তোমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তোমার প্রতি তওবা (অনুশোচনার সাথে প্রত্যাবর্তন) করছি।[1] মজলিস থেকে উঠে যাওয়ার পূর্বে সকলের জন্য নিম্নের দু‘আ পড়াও সুন্নাত।
اَللّهُمَّ اقْسِمْ لَنَا مِنْ خَشْيَتِكَ مَا تَحُوْلُ بِهِ بَيْنَنَا وَبَيْنَ مَعَاصِيْكَ، وَمِنْ طَاعَتِكَ مَا تُبَلِّغُنَا بِهِ جَنَّتَكَ، وَمِنَ الْيَقِيْنِ مَا تُهَوِّنُ بِهِ عَلَيْنَا مَصَائِبَ الدُّنْيَا، اَللّهُمَّ مَتِّعْنَا بِأَسْمَاعِنَا وَأَبْصَارِنَا وَقُوَّتِنَا مَا أَحْيَيْتَنَا، وَاجْعَلْهُ الْوَارِثَ مِنَّا، وَاجْعَلْ ثَأْرَنَا عَلى مَنْ ظَلَمَنَا، وَانْصُرْنَا عَلى مَنْ عَادَانَا، وَلاَ تَجْعَلْ مُصِيْبَتَنَا فِيْ دِيْنِنَا، وَلاَ تَجْعَلْ الدُّنْيَا أَكْبَرَ هَمِّنَا وَلاَ مَبْلَغَ عِلْمِنَا، وَلاَ تُسَلِّطْ عَلَيْنَا مَنْ لاَ يَرْحَمُنَا
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মাক্বসিম লানা মিন খাশয়্যাতিকা মা তাহূলু বিহী বাইনানা অবাইনা মাআ-সীক, অমিন ত্বা-আতিকা মা তুবাল্লিগুনা বিহী জান্নাতাক, অমিনাল ইয়াক্বীনি মা তুহাউবিনু বিহী আলাইনা মাসা-ইবাদ দুনয়্যা। আল্লাহুম্মা মাত্তি’না বিআসমা-ইনা অ আবস্বা-রিনা অক্বুউওয়াতিনা মা আহয়্যাইতানা, অজআলহুল ওয়া-রিষা মিন্না। অজআল সা’রানা আলা মান যালামানা, অনসুরনা আলা মান আ-দা-না, অলা তাজআল মুসীবাতানা ফী দীনিনা। অলা তাজআলিদ্দুন্য়্যা আকবা-রা হাম্মিনা অলা মাবলাগা ইলমিনা, অলা তুসাল্লিত্ব আলাইনা মাল লা য়্যারহামুনা।
অর্থঃ আল্লাহ গো! আমাদের জন্য তোমার ভীতি বিতরণ কর যার দ্বারা তুমি আমাদের ও তোমার অবাধ্যাচরণের মাঝে অন্তরাল সৃষ্টি কর। তোমার আনুগত্য বিতরণ কর যার দ্বারা তুমি আমাদেরকে তোমার জান্নাতে পৌঁছাও। আমাদের জন্য এমন একীন (প্রত্যয়) বিতরণ কর যার দ্বারা তুমি আমাদের উপর দুনিয়ার বিপদ সমূহকে সহজ করে দাও। হে আল্লাহ! তুমি আমাদের কর্ণ, চক্ষু ও শক্তি দ্বারা যতদিন আমাদেরকে জীবিত রাখ ততদিন আমাদেরকে উপকৃত কর এবং তা আমাদের মৃত্যু পর্যন্ত অবশিষ্ট রাখ। যারা আমাদের উপর অত্যাচার করেছে তাদের নিকট আমাদের প্রতিশোধ নাও। যারা আমাদের সাথে শত্রুতা করেছে তাদের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য কর। আমাদের দ্বীনে আমাদেরকে বিপদগ্রস্ত করো না। দুনিয়াকে আমাদের বৃহত্তম চিন্তার বিষয় এবং আমাদের জ্ঞানের শেষ সীমা করো না, আর যারা আমাদের উপর রহম করে না তাদেরকে আমাদের উপর ক্ষমতাসীন করো না।[2]
প্রকাশ থাকে যে, মজলিস বা জালসা শেষে একজনের হাত তুলে মুনাজাত এবং সকলের ‘আমীন-আমীন’ বলার ঘটা শরীয়ত-সম্মত নয়; বরং এটি একটি বিদআত।
[2]. তিরমিযী হা/৩৪৯৭