কুরআন শিখার পর তা ভুলে যাবেন না। যে সূরা মুখস্থ আছে, তা যেন মুখস্থ থাকে সেই চেষ্টাই করবেন। মুখস্থ সূরা নামাযে পড়ুন, তাহলে অনুশীলনের ফলে তা মনে থাকবে। প্রত্যহ কিছু কিছু করে তিলাওয়াত করুন। নামাযের আযান হওয়া মাত্র মসজিদে এসে তাহিয়্যাতুল মাসজিদ পড়ে বসে না থেকে নিয়মিত কুরআন পাঠ করুন। প্রতীক্ষার দীর্ঘ সময়কে কুরআন পাঠ করে কাজে লাগান। গাড়িতে ও বাড়িতে কুরআনের ক্যাসেট শুনুন।
তা না করতে পারলে কুরআন মুখস্থ থাকবে না। রাসুল (ﷺ) বলেন, ‘‘তোমরা নিয়মিত কুরআন পাঠ কর। নচেৎ সেই সত্তার কসম যাঁর হাতে আমার প্রাণ আছে! বাঁধা উট যেমন তার রশি থেকে অতর্কিতে বের হয়ে যায়, তার চেয়ে অধিক অতর্কিতে কুরআন (স্মৃতি থেকে) বের হয়ে (বিস্মৃত হয়ে) যায়।’’[1]
তিনি বলেন, ‘‘কুরআন-ওয়ালা হল বাঁধা উট-ওয়ালার মত। সে যদি তা বাঁধার পর তার যথারীতি দেখাশোনা করে, তাহলে বাঁধাই থাকবে। নচেৎ ঢিল দিলেই উট পালিয়ে যাবে।’’[2]
তিনি আরো বলেন, ‘‘তোমরা আল্লাহর কিতাব শিক্ষা কর, (পাঠ করার মাধ্যমে) তার যত্ন কর, তা ঘরে রাখ এবং সুরেলা কণ্ঠে তা তিলাওয়াত কর। কারণ, উট যেমন রশির বন্ধন থেকে অতর্কিতে বের হয়ে যায়, তার চেয়ে অধিক অতর্কিতে কুরআন (স্মৃতি থেকে) বের হয়ে (বিস্মৃত হয়ে) যায়।’’[3]
সুতরাং বারবার যথা নিয়মে পুনরাবৃত্তি করলে তবেই কুরআন মনে থাকবে। নচেৎ অনায়াসেই তা মন থেকে মুছে যাবে। ফাল্লাহুল মুস্তাআন।
[2]. বুখারী তাওহীদ পাবঃ হা/ ৫০৩১, মুসলিম আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা হা/৭৮৯
[3]. দারেমী, আহমাদ ৪/১৪৬, ১৫০, ১৫৩, ৩৯৭