যেহেতু কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে এবং আমাদেরকে তা তিলাওয়াত করতে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে তার উপর আমল করার জন্যই। সুতরাং কুরআন যাকে হালাল বলে তা হালাল, যাকে হারাম বলে তা হারাম বলে মেনে নিন। কুরআন যা করতে নিষেধ করে তা খবরদার করবেন না। যা করতে আদেশ করে তা অবশ্যই পালন করুন। কুরআনের স্পষ্ট-অস্পষ্ট সকল আয়াতের উপর যথার্থ ঈমান রাখুন। এই গ্রন্থে দেওয়া সমস্ত খবরকে সন্দেহহীন মনে বিশ্বাস করুন। দ্বিধাহীন চিত্তে এর ফায়সালা ঘাড় পেতে মেনে নিন। তবেই হবে যথাযথভাবে কুরআন তিলাওয়াত। আমল না করে কুরআন তিলাওয়াতের কি কোন লাভ থাকতে পারে?

যার কাছে কুরআনী ইল্ম আছে (আলেম, ক্বারী) অথচ তার প্রতি অবহেলা করে রাত্রে নিদ্রায় বিভোর থাকে এবং দিনে তার উপর আমল করে না তাকে (এবং যে ফরয নামায না পড়ে ঘুমিয়ে থাকে তাকে) বারযাখে (কবর-জগতে) চিৎ করে শায়িত করা হয়। তার শীর্ষদেশে দণ্ডায়মান একজন (ফিরিশ্তা) তার মস্তকে (ছোট) পাথর ছুঁড়ে মারেন। তাতে তার মস্তক বিদীর্ণ হয়ে যায় এবং ছুঁড়া পাথরটি পুনরায় কুড়িয়ে এনে পুনরায় ছুঁড়ে মারার পূর্বেই তার মস্তক অক্ষত অবস্থায় প্রত্যাবৃত্ত হয়। আর পুনঃ পুনঃ কিয়ামত অবধি এইভাবে তার আযাব হতে থাকে।[1]

[1]. বুখারী তাওহীদ পাবঃ হা/ ১৩৮৬