যেহেতু কুরআন তিলাওয়াত একটি ইবাদত। আর প্রত্যেক ইবাদত কবুল হয় দুটি শর্তে; ইখলাস ও তরীকায়ে মুহাম্মাদীর পথ অনুসরণ করে।
সুতরাং কুরআন শিক্ষা ও পাঠের সময় আপনার মনে যেন আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্য না থাকে। নচেৎ তা শির্কে পরিণত হতে পারে, আর তার পরিণতি অবশ্যই ভালো নয়।
কিয়ামতের দিন অন্যান্য লোকেদের পূর্বে যে তিন ব্যক্তির প্রথম বিচার হবে, তাদের মধ্যে দ্বিতীয় হচ্ছে এমন ব্যক্তি, যে ইল্ম শিক্ষা করেছে, অপরকে শিক্ষা দিয়েছে এবং কুরআন পাঠ করেছে। তাকে আল্লাহর দরবারে উপস্থিত করা হবে। আল্লাহ তাকে (পৃথিবীতে প্রদত্ত) তাঁর সকল নেয়ামতের কথা স্মরণ করিয়ে দেবেন। সেও সব কিছু স্মরণ করবে। অতঃপর আল্লাহ বলবেন, ‘এই সকল নেয়ামতের বিনিময়ে তুমি কি আমল করে এসেছ?’ সে বলবে, ‘আমি ইল্ম শিখেছি, অপরকে শিখিয়েছি এবং তোমার সন্তুষ্টিলাভের জন্য কুরআন পাঠ করেছি।’ আল্লাহ বলবেন, ‘মিথ্যা বলছ তুমি। বরং তুমি এই উদ্দেশ্যে ইল্ম শিখেছ; যাতে লোকেরা তোমাকে আলেম বলে এবং এই উদ্দেশ্যে কুরআন পড়েছ, যাতে লোকেরা তোমাকে ক্বারী বলে। আর (দুনিয়াতে) তা বলা হয়েছে।’ অতঃপর ফিরিশ্তাদেরকে নির্দেশ দেওয়া হবে। তাঁরা তাকে উবুড় করে টেনে নিয়ে গিয়ে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন।[1]