গুপ্তাঙ্গ গুপ্তই থাকে, তবুও তার (নাভির নিচে এবং পেশাব-পায়খানাদ্বারের আশে-পাশে) গজিয়ে ওঠা লোম পরিষ্কার করে ফেলতে হয় মুসলিমকে।
উল্লেখ্য যে, মুসলিম কেবল বাহিরেই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নয়; বরং আভ্যন্তরিক ও গোপনীয় বিষয়েও সে বড় সভ্য।
এই লোম চেঁছে ফেলাই সুন্নাত। অবশ্য তা কোন কেমিক্যাল ব্যবহার করে তুলে ফেলাও বৈধ। যেমন চাঁছার যন্ত্র না পাওয়া গেলে অথবা চাঁছা কষ্টকর হলে কাঁচি দিয়ে কেটে ফেলাও দূষণীয় নয়।
পক্ষান্তরে গুপ্তাঙ্গের লোম কাঁচি দ্বারা পরিষ্কার করলে পরিবারে ও জীবনে অশান্তি নেমে আসে এ ধারণা অমূলক।
গুপ্তাঙ্গের লোম আদি (বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে) পরিষ্কার করতে কোন পুরুষের কাছেও লজ্জাস্থান খোলা বৈধ নয়।[1]
এ লোম কোন্ দিনে কাটতে হবে, তারও কোন প্রমাণ মিলে না। সুতরাং তা যে কোন দিনে কাটা যায়। তবে প্রত্যেক সপ্তাহে জুমআর দিন নখ, মোচ ইত্যাদি কেটে ফেলার কথা ইবনে উমার (রাঃ) কর্তৃক বর্ণনা পাওয়া যায়।[2]
অবশ্য সে সব না কেটে ৪০ দিন বেশী পার করা যাবে না। যেহেতু আনাস (রাঃ) বলেন, ‘মোচ ছাঁটা, নখ কাটা, নাভির নিচের লোম চাঁছা এবং বোগলের লোম তুলে ফেলার ব্যাপারে আমাদেরকে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে; যাতে আমরা সে সব চল্লিশ দিনের বেশী ছেড়ে না রাখি।’[3]
প্রকাশ থাকে যে, যাদু থেকে বাঁচার জন্য দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন চুল, লোম বা নখ ইত্যাদি মাটিতে পুঁতে ফেলা দূষণীয় নয়। পুঁতে ফেলা আদেশ বা মুস্তাহাব হওয়ার ব্যাপারে কোন হাদীস সহীহ নয়।[4]
মানুষ সম্মানিত জীব। তার সকল অংশও সম্মানিত। সুতরাং তার দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন কোন অংশ (নখ) চুল (ইত্যাদি) বিক্রয় করা বৈধ নয়। ইমাম আত্বা চুল বিক্রয়কে ঘৃণিত আচরণ মনে করতেন।[5]
[2]. বাইহাক্বী ৩/২৩৪
[3]. মুসলিম আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা হা/২৫৮
[4]. সিলসিলাহ যয়ীফাহ হা/২৩৫৭
[5]. ইবনে আবী শাইবাহ ৪/১২৩