পুরুষের মাথার পোশাক হল পাগড়ী ও টুপী। পরিপূর্ণ পরিচ্ছদ গ্রহণ করার সময় মাথায় পাগড়ী রাখা সুন্নাত। যেমন টুপী রেখেও মাথার সৌন্দর্য গ্রহণ করা কর্তব্য। ইসলামী ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করার জন্য আমাদের উচিত হল, অমুসলিম সমাজেও সে লেবাস পরে নিজস্ব স্বকীয়তা ও বৈশিষ্ট্য বজায় রাখা।

বিশেষ করে নামাযে পাগড়ী অথবা টুপী পরিধান করে সৌন্দর্যের সাথে মহান আল্লাহর দরবারে দণ্ডায়মান হওয়া। অবশ্য পাগড়ী অথবা টুপী না থাকলে মাথায় গা মোছা গামছা, ‘রু’ (চেহারা) মোছা রুমাল অথবা তালপাতা কিংবা প্লাস্টিকের তৈরী টুপী মাথায় দিলে সৌন্দর্য আসে না। বরং তা অনেক সময় খারাপ লাগে। আর সে সময় তা ব্যবহার না করে খালি মাথায় নামায পরা বৈধ হবে। তবে জেনে রাখা ভালো যে, খালি মাথায় নামায পড়া ভালো নয়। বরং ইচ্ছাকৃত মাথায় সৌন্দর্য গ্রহণ না করে নামায পড়া মকরূহ। যেহেতু তা রসূল (ﷺ) ও সালাফের আমলের খিলাপ।

পক্ষান্তরে টুপীর আকার কেমন হবে, তা নির্দিষ্ট করা মুশকিল। গোল টুপী না লম্বা টুপী?

যে টুপী মুসলিম পরিবেশে প্রচলিত, যে টুপীতে মাথার যথার্থ সৌন্দর্য আনে এবং যে টুপী কোন অমুসলিমদের টুপীর মত নয় তাই পড়ে নামায হবে। যেমন যে রুমাল কেবল মাথার সৌন্দর্যের জন্য ব্যবহৃত, তা মাথায় দিয়েও নামায হবে।