দেহের কোন অঙ্গ বা সৌন্দর্য যেন কোন বেগানা (যার সাথে কোনও সময়ে বিবাহ বৈধ এমন) পুরুষের সামনে প্রকাশ না পায়। কেন না মহানবী (ﷺ) বলেন, ‘‘মেয়ে মানুষের সবটাই লজ্জাস্থান (গোপনীয়)। আর সে যখন বের হয়, তখন শয়তান তাকে পুরুষের দৃষ্টিতে পরিশোভিতা করে তোলে।’’[2] মহান আল্লাহ বলেন,
يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ قُلْ لِأَزْوَاجِكَ وَبَنَاتِكَ وَنِسَاءِ الْمُؤْمِنِينَ يُدْنِينَ عَلَيْهِنَّ مِنْ جَلَابِيبِهِنَّ
‘‘হে নবী! তুমি তোমার পত্নীগণকে, কন্যাগণকে এবং মু’মিনদের স্ত্রীগণকে বলে দাও, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের (চেহারার) উপর টেনে নেয়---।’’[3]
হযরত উম্মে সালামাহ (রাঃ) বলেন, ‘উক্ত আয়াত অবতীর্ণ হলে (মদীনার) আনসারদের মহিলারা যখন বের হল, তখন তাদের মাথায় (কালো) চাদর (বা মোটা ওড়না) দেখে মনে হচ্ছিল যেন ওদের মাথায় কালো কাকের ঝাঁক বসে আছে!’[4]
আল্লাহ তাআলার আদেশ, মু’মিন মেয়েরা যেন তাদের ঘাড় ও বুককে মাথার কাপড় দ্বারা ঢেকে নেয়---। (সূরা নূর-২৪:৩১)
হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, ‘পূর্বের মুহাজির মহিলাদের প্রতি আল্লাহ রহম করেন। উক্ত আয়াত অবতীর্ণ হলে তারা তাদের পরিধেয় কাপড়সমূহের মধ্যে সবচেয়ে মোটা কাপড়টিকে ফেড়ে মাথার ওড়না বানিয়ে মাথা (ঘাড়-গলা-বুক) ঢেকেছিল।’[5]
সাহাবাদের মহিলাগণ যখন পথে চলতেন, তখন তাঁদের নিম্নাঙ্গের কাপড়ের শেষ প্রান্ত মাটির উপর ছেঁচড়ে যেত। নাপাক জায়গাতে চলার সময়েও তাদের কেউই পায়ের পাতা বের করতেন না।[6] সুতরাং মাথা ও পায়ের মধ্যবর্তী কোন অঙ্গ যে প্রকাশ করাই যাবে না, তা অনুমেয়।
জ্ঞাতব্য যে, মহিলাদের পায়ের পাতা গোপন করা অনেকের মতে জরুরী না হলেও উত্তম। সুতরাং সে ক্ষেত্রে মোজা ও জুতার মাধ্যমে তা পর্দা করে নিলেও চলবে।[7]
[2]. তিরমিযী, মিশকাত হা:৩১০৯
[3]. সূরা আহযাব-৩৩:৫৯
[4]. আবূ দাঊদ হা/৪১০১
[5]. আবূ দাঊদ হা/৪১০২
[6]. মিশকাত হা/৫০৪, ৫১২, ৪৩৩৫
[7]. ফাতাওয়া ইবনে উষাইমীন ২/৮৩৮