১০ যিলহজ: কাজের ধারাবাহিকতা ভঙ্গ
- এটি আরেকটি বিতর্কিত বিষয়! হজে যাওয়ার আগে এ সম্পর্কে আপনার জ্ঞান থাকা জরুরি। অনেকে আপনাকে ১০ যিলহজ এর সকল কাজগুলো ধারাবাহিকতা অনুসরণ করার জন্য বলবে, ধারাবাহিকতা ভঙ্গ করলে একটি পশু যবেহ করে দম দিতে বলবে! কিন্তু সহীহ হাদীসের তথ্যসূত্র অনুসারে ধারাবাহিকতা ভঙ্গ হলে কোনো দমের কথা বলা নেই; বরং এতে কোনো ক্ষতি নেই বলা আছে! আল্লাহ তা‘আলা অসীম দয়ালু ও করুণাময়, তাই তিনি তার বান্দাদের ওপর কোনো বিষয় কঠিন করে জোরপূর্বক চাপিয়ে দেন না। আপনি যদি আপনার সাধারণ জ্ঞান ব্যবহার করেন তাহলেই বুঝতে পারবেন কোনটা সঠিক আর কোনটা ভুল।
- ১০ যিলহজ যদি এমন হয়, আপনার না জানার কারণে হজের কোনো বিধান ধারাবাহিকভাবে সম্পাদন করা হয় নি অথবা কোনো ওজর/জটিলতার কারণে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনো বিধান পালন করতে গিয়ে হজের অন্য কোনো বিধান এর ধারাবাহিকতা ভঙ্গ হয়ে যায় তাহলে এতে কোনো সমস্যা নেই। এ জন্য কোনো কাফফারা আদায় করতে হবে না। তবে ইচ্ছাকৃতভাবে ধারাবাহিকতা ভঙ্গ না করা উত্তম। (উদাহরণ: আপনি যদি ব্যাংক বুথ থেকে হাদী টিকেট ক্রয় করেন, আর আপনার কাছে যদি মোবাইল না থাকে তবে আপনি তো জানতে পারবেন না আপনার পশু ১০ যিলহজ কখন যবেহ করা হলো! তবে আপনি কতক্ষণ পর্যন্ত ইহরামের কাপড় পরে থাকবেন!)
- হজের কার্যক্রমগুলো ধারাবাহিকভাবে করা সুন্নাত: কংকর নিক্ষেপ, হাদী, কসর/হলক্ব, তাওয়াফে ইফাদাহ, সা‘ঈ করা; কিন্তু কেউ যদি ধারাবাহিকতা ভঙ্গ করে কোনটি আগে বা কোনটি পরে করেন কোনো জটিলতার কারণে তাহলে তা করা যাবে। কারণ ইবন আব্বাস থেকে বর্ণিত বেশ কয়েকটি হাদীসে লোকদের বিভিন্ন কাজ আগে পরে হওয়ার কথা শুনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘কর, কোনো অসুবিধা নেই’’, ‘‘কোনো সমস্যা নেই”।[1]
[1] সহীহ হাদীসের তথ্যসূত্র দেখুন: সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৬২৫, ১৬২৬; ইফা; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৩০৫; মুসনাদে আহমদ; ইবন মাজাহ।