হজ সফরে একাধিক উমরাহ
- এটি একটি বিতর্কিত বিষয় এখনকার যুগে। আপনি দেখবেন অনেকে উমরাহ সম্পন্ন করার পর বাবা, মা, দাদা, দাদী, নানা, নাতি, ছেলে, মেয়ের নামে একাধিক উমরাহ করছেন, আবার কেউ কেউ একই দিনে দুই/তিনটি করে উমরাহ করছেন। উমরাহ নিঃসন্দেহে একটি নেকীর ইবাদত কিন্তু এমনভাবে গণহারে উমরাহ যদি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবীগণের যামানায় যদি কেউ করে থাকেন তবে আপনিও নিঃসন্দেহে করতে পারেন।
- কিন্তু কুরআন ও হাদীসে এক সফরে একাধিক উমরাহ করার কোনো কথা খুজে পাওয়া যায় না। বরং তামাত্তু হজকারীদেরকে উমরাহ আদায়ের পর হালাল অবস্থায় থাকতে বলা হয়েছে হজ শুরুর পূর্ব পর্যন্ত। তাই উচিৎ হবে এক সফরে একাধিক উমরাহ না করা। বরং বেশি বেশি তাওয়াফ করাই উত্তম। দেখা গেছে এমন একাধিক উমরাহ পালন করতে গিয়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন হজের পূর্বে। তখন হজ সম্পাদন করাটাই কষ্টকর হয়ে যায়।
- সাহাবায়ে কেরামের উমরাহ আদায়ের পদ্ধতি থেকে অবশ্য হজের সময় ব্যতীত অন্য সময়ে বছরে একাধিকবার উমরাহ করার বৈধতা প্রমাণিত হয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জীবনে ৪ বার উমরাহ পালন করেছেন। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা বছরে ৩ টি পর্যন্ত উমরাহ করেছেন। এ বিষয়গুলো হাদীস থেকে জানা যায়।
- এক হাদীসে এসেছে, ‘‘তোমরা বার বার হজ ও উমরাহ আদায় করো। কেননা এ দুটি দারিদ্রতা ও গুনাহ বিমোচন করে দেয়।’’ সাহাবায়ে কেরামের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, এক উমরাহ আদায়ের পর তাদের মাথার চুল কালো হয়ে যাওয়ার পর আবার উমরাহ করতেন, তার আগে করতেন না।
অপর এক হাদীস থেকে আমরা জানতে পারি আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা হজের পর উমরাহ আদায় করেছিলেন কারণ তিনি হায়েয অবস্থায় ছিলেন হজের পূর্বে। তাই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে হজের পর উমরাহ করার অনুমতি দেন, এ থেকে বুঝা যায় কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে হজের পর উমরাহ পালন করা যায়।[1]
[1] মুসনাদে আহমদ