হজ সফরে সহজ গাইড উমরাহ মুহাম্মাদ মোশফিকুর রহমান ১ টি
  • সম্পূর্ণ মসজিদে এসি নেই। কিছু কিছু জায়গা ও বেজমেন্টে এসি রয়েছে।
  • মসজিদের ভেতরে কিছু জায়গা মহিলাদের সালাতের জন্য নির্দিষ্ট করা আছে, কিন্তু অনেকসময় দেখা যায় জায়গা সংকুলান না হওয়ার কারণে মহিলারা পুরুষের সালাতের স্থানে দাঁড়িয়ে যান।
  • মারওয়া গেট থেকে উমরাহ গেট পর্যন্ত মূল মসজিদুল হারামের সম্প্রসারণ ও অপর মসজিদ বিল্ডিং সংযোজন এর কাজ চলছে।
  • মসজিদের ভেতরে সবসময়ই রক্ষণাবেক্ষণ কাজ করা হয়।
  • আপনি যতবারই মসজিদুল হারামে যাবেন ততবারই কিছু না কিছু অবকাঠামো উন্নয়ন ও পরিবর্তনের কাজ লক্ষ্য করবেন।
  • দিনের বেলা মক্কার আবহাওয়া একটু বেশি উত্তপ্ত আবার রাতের বেলায় হালকা ঠান্ডা পড়ে।
  • মসজিদুল হারামের আশেপাশে বই বিতরণের কিছু ছোট ছোট বুথ আছে যেখান থেকে প্রায়ই বিনামূল্যে বই বিতরণ করা হয়।
  • মসজিদুল হারামের ভিতরে প্রবেশের জন্য ৯০টিরও অধিক গেট রয়েছে। মসজিদের দুই তলায় আরোহনের জন্য সিড়িঁ ও এস্কেলেটরের ব্যবস্থা আছে। কিছু জায়গায় লিফটের ব্যবস্থাও আছে।
  • মসজিদের ভেতরে ও বাইরে পান করার জন্য যমযমের পানি সম্পূর্ণ উন্মুক্ত এবং মক্কা লাইব্রেরির পাশ থেকে বড় বড় বোতলে কুপের পানি নিয়ে আসা যায়।
  • মসজিদের ভেতরে অসংখ্য বুকশেলফ রয়েছে, সেখান থেকে ইচ্ছে করলে কুরআন শরীফ (নীল রংয়ের) নিয়ে তেলাওয়াত করতে পারবেন।
  • মসজিদুল হারামের বড় বড় গেট দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করার সময় খেয়াল রাখবেন গেটের উপরে সবুজ আলো জ্বলছে কি না। যা প্রবেশ করা যাবে কি যাবে না; তা নির্দেশ করে।
  • টয়লেট ও অযু করার ব্যবস্থা মসজিদের বাইরে। মসজিদের ভেতরে অযু করার ব্যবস্থা থাকলেও সংখ্যায় কম।
  • সাফা ও মারওয়ার পাশে ওয়াশরুমের ছাদের উপর হারানো ও পাওয়া জিনিসের খোঁজ নেওয়ার অফিস আছে।
  • মসজিদের আশেপাশে হাদী/ফিদইয়া টিকিট ক্রয়ের জন্য কিছু ব্যাংকের বুথ পাবেন। হাদীর টিকিট কিনার ইচ্ছা থাকলে আগেভাগে কিনে ফেলুন।
  • মসজিদের বাইরে মূল গেটগুলোর পাশে কিছু লাগেজ লকার পাবেন।
  • সাফা মারওয়ার পাশে শিয়াব বনি হাশিম রোডে লাশ পরিবহনের অ্যাম্বুলেন্স অপেক্ষমান থাকে। জানাযার পর এখান দিয়ে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়।
  • তাওয়াফ ও সা‘ঈ করার জন্য মসজিদের ভেতরে বিনামূল্যে ও ভাড়াভিত্তিক হুইল চেয়ার পাওয়া যায়।
  • মসজিদের প্রতি গেটে নিরাপত্তাকর্মী থাকেন ও সন্দেহজনক ব্যাগ চেক করেন। তারা সাধারণত বড় ব্যাগ নিয়ে মসজিদে প্রবেশ করতে দেন না।
  • মসজিদের ভেতরে সবসময় নীল/সবুজ পোশাক পরিহিত পচ্ছিন্নতাকর্মীরা কাজ করেন; তাদের অধিকাংশই বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের নাগরিক।
  • মসজিদের কিছু অংশের মেঝে কার্পেট দিয়ে আবৃত থাকে। অধিকাংশই থাকে উন্মুক্ত। হজের সময় কাছাকাছি হলে সব কার্পেট তুলে রাখা হয়।
  • প্রায় প্রত্যেক ফরয সালাতের পর জানাযার সালাত হয়। তাই হুট করে সুন্নাত সালাতে না দাঁড়িয়ে জানাযার সালাত পড়ুন।
  • মসজিদ প্রসস্থকরনের কাজের জন্য অস্থায়ীভাবে তাওয়াফের জায়গার উপর একটি ব্রীজ নির্মাণ করা হয়েছে তাওয়াফকারীদের জন্য।
  • মসজিদুল হারাম সম্পর্কে আরও ধারণা নিতে সৌদি আরবের টিভি চ্যানেল দেখতে পারেন, সেখানে ২৪ ঘণ্টাই কা‘বা থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। এ চ্যানেলের জন্য আপনার ক্যাবল অপারেটরের সাথে যোগাযোগ করুন।