সাঈ-এর তাৎপর্য
- সা‘ঈ অর্থ; সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের মাঝে হাঁটা বা দৌড়ানো।
- কা‘বা শরীফের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে সাফা পাহাড় এবং পূর্ব-উত্তর দিকে মারওয়া পাহাড় অবস্থিত। এ দুই পাহাড়ের মধ্যবর্তী সা‘ঈ করার স্থানকে মাস‘আ বলা হয়। মাস‘আর স্থানটুকু মার্বেল পাথর দ্বারা আবৃত আছে। মাস‘আ দৈর্ঘ্যে ৩৯৪.৫মি. ও প্রস্থে ২০মি.। দুই পাহাড়ের উপর গম্বুজ নির্মিত আছে।
- বেজমেন্ট/প্রথম তলা/দ্বিতীয় তলা/ছাদের উপরও প্রয়োজনে সা‘ঈ করা যায়। তবে সাফা মারওয়ার মাস‘আ এলাকার বাইরে দিয়ে সা‘ঈ করা যাবে না।
- প্রাচীন সাফা ও মারওয়া পাহাড় কাঁচের ঘেরা দিয়ে সংরক্ষিত আছে। সা‘ঈ করার সময় সাফা ও মারওয়ায় পৌঁছে এ পাহাড় দেখা যায়।
- সাফা পাহাড় থেকে শুরু করে মারওয়া পাহাড়ে হাঁটা শেষ হলে এক চক্কর গণনা করা হয়। আবার মারওয়া পাহাড় থেকে সাফা পাহাড় হাঁটা শেষ হলে দুই চক্কর গণনা করা হয়। সা‘ঈ সম্পন্ন করার জন্য এভাবে সাত চক্কর হাঁটতে হবে। (অর্থাৎ সপ্তম চক্কর শেষ হবে মারওয়া পাহাড়ে)
- হাজের আলাইহাস সালাম ও ইসমাঈল আলাইহিস সালামের ইসলামি ইতিহাসের স্মরণে সা‘ঈ করা। যা আল্লাহ তা‘আলার প্রতি সংগ্রাম, ধৈর্য, আস্থা ও বিশ্বাসের সাদৃশ্য ঘটায়।
- পায়ে হেঁটে অথবা হুইল চেয়ারে করে সা‘ঈ করা যাবে। হুইল চেয়ারে সা‘ঈ করার জন্য মাঝখানে একটি রাস্তা নির্ধারণ করা আছে। সা‘ঈ করার সময় অযু করা বাধ্যতামূলক নয়, তবে মুস্তাহাব। সা‘ঈ করার মধ্যবর্তী স্থানে একটি সবুজ আলো চিহ্নিত স্থা্ন আছে যেখান দিয়ে শুধু পুরুষদের দ্রুত হাঁটতে হয়।
- তাওয়াফের পরপরই সা‘ঈ করতে হবে। তাওয়াফের আগে সা‘ঈ করা যাবে না। পায়ে হেঁটে অথবা হুইল চেয়ারে সা‘ঈ সম্পন্ন করা যাবে।
- সা‘ঈ করার সময় সাফা থেকে মারওয়া পাহাড়ে গিয়ে অথবা মারওয়া থেকে সাফা পাহাড়ে গিয়ে কিছুটা বিশ্রাম করা অনুমোদিত, এমনকি সেটা যদি সা‘ঈ করার মধ্যবর্তী অবস্থায়ও হয়।
- ঋতুবতী মহিলারা সা‘ঈ করতে পারবেন, কারণ সা‘ঈ এলাকা মসজিদুল হারামের কোনো অংশ নয়। তবে মসজিদুল হারামের সীমানার ভিতরে প্রবেশ করা যাবে না। সা‘ঈ করা উমরাহর একটি ফরয কাজ।
কাজ |
হতে |
পর্যন্ত |
প্রতি আবর্তন ও সর্বমোট দূরত্ব (আনুমানিক) |
সাঈ |
সাফা পাহাড় |
মারওয়া পাহাড় |
০.৪৫ কি.মি ও ৩.১৫ কি.মি |