তাওয়াফের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও টিপস
কাজ |
থেকে |
পর্যন্ত |
প্রতি আবর্তন ও সর্বমোট দূরত্ব (আনুমানিক) |
কা‘বা তাওয়াফ (মাতাফ-প্রধান ফ্লোরে) |
হাজরে আসওয়াদ |
হাজরে আসওয়াদ |
০.৩২ কি.মি ও ২.২৫ কি.মি |
কা‘বা তাওয়াফ (মাতাফের ২য় তলায়) |
হাজরে আসওয়াদ |
হাজরে আসওয়াদ |
০.৪৫ কি.মি ও ৩.১২ কি.মি. |
কা‘বা তাওয়াফ (হারামের ২য় ও ৩য় তলায়) |
হাজরে আসওয়াদ |
হাজরে আসওয়াদ |
০.৬৮ কি.মি ও ৪.৭৬ কি.মি. |
- যদি হজ শুরুর ৭-১০ দিনের মধ্যে উমরাহ করতে যান তবে প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে পড়তে হতে পারে। এজন্য মসজিদের দুই অথবা তিন তলা দিয়ে প্রথম তাওয়াফ করা ভাল। তাছাড়া সাধারণত এশার সালাতের পরে বা মধ্যরাতে বা সকাল ৬টা থেকে ৯টার মধ্যে তাওয়াফ করা ভালো। এতে আপনি সালাতের সময়ে তাওয়াফ করা, সূর্যের তাপ ও অতিরিক্ত ভিড় এড়াতে পারবেন।
- তাওয়াফের পূর্বে পানি কম করে পান করলে ভালো হয়। তাওয়াফের আগে টয়লেট/বাথরুম সেরে নেওয়া উত্তম। সঙ্গে মাসনুন দু‘আ-র বই নেওয়া যায়।
- তাওয়াফ করার সময় স্যান্ডেল বহন করার জন্য ছোট কাপড়ের ব্যাগ/কাধ ব্যাগ সঙ্গে নিবেন। মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে সাথে নিবেন অথবা সাইলেন্ট মোডে দিয়ে রাখবেন। আপনার হোটেল বা বাড়ির ঠিকানা কার্ড সঙ্গে নেবেন। হজ আইডি কার্ড ও হাতের ব্যান্ড সঙ্গে রাখুন।
- তাওয়াফের সময় ভিড়ের মধ্যে শান্ত থাকবেন। দরকার হলে কারো হাত ধরে রাখবেন। তাড়াহুড়া করতে গিয়ে অন্যকে ধাক্কা দিয়ে কষ্ট দেবেন না।
- সবাই দলবদ্ধ হয়ে তাওয়াফ করার চেয়ে ছোট ছোট দল হয়ে তাওয়াফ করাই উত্তম। কারণ সবার গতি এক নয় আর মনোযোগ আল্লাহর যিকির করার চেয়ে দলের প্রতি থাকবে বেশি। তবে হারিয়ে যাওয়ার খুব ভয় থাকলে কথা ভিন্ন।
- তাওয়াফের প্রথম দিনই হাজারে আসওয়াদ চুম্বন করার চেষ্টা করবেন না। সাথে মহিলা থাকলে খুব কা‘বা ঘর ঘেষে তাওয়াফ করতে যাবেন না।
যখনই আযান শুনবেন তখনই তাওয়াফ/সা‘ঈ বন্ধ করে দিয়ে সালাতের প্রস্তুতি নিবেন। সালাত আদায় করে আবার সেখান থেকেই শুরু করে দেবেন।