হজ সফরে সহজ গাইড উমরাহ মুহাম্মাদ মোশফিকুর রহমান ১ টি
  • তাওয়াফের সাধারণ অর্থ হলো - বায়তুল্লাহ বা কা‘বা আবর্তন করা।
  • কা‘বা ঘরের চারপাশে শরী‘আত নির্ধারিত পদ্ধতিতে ৭ বার প্রদক্ষিণ করাকে তাওয়াফ বলা হয়। কা‘বা ঘর তাওয়াফ করার নেকী অপরিসীম।
  • পৃথিবীর বুকে আল্লাহর ইবাদাতের জন্য নির্মিত কা‘বা ঘরই ছিল প্রথম ঘর। পৃথিবীর আর কোনো ঘর তাওয়াফ করার জন্য আল্লাহ নির্দেশনা দেন নি।
  • আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘‘এবং আমি ইবরাহীম ও ইসমাঈল-কে আদেশ দিয়েছিলাম যেন তারা আমার ঘরকে তাওয়াফকারীদের, ইতিকাফকারীদের, রুকু ও সাজদাহকারীদের জন্য পবিত্র করে রাখে’’।[1]
  • এক হাদীসে তাওয়াফকে সালাতের সমতুল্য বলা হয়েছে। পার্থক্য শুধু এতটুকু, তাওয়াফের সময় কথা বলা বৈধ তবে প্রয়োজন ব্যাতিরেকে না বলাই উত্তম।
  • মহাবিশ্বের বৃহৎ শক্তির চারদিকে সকল ছোট বস্তু আবর্তন করে বা আল্লাহ কেন্দ্রিক মানবের জীবন বা মহান আল্লাহর নিদর্শন ও নিয়ামতের চারপাশে মানুষের বিচরণ বা এক আল্লাহ নির্ভর জীবনযাপনের গভীর অঙ্গিকার ব্যক্ত করা - এসবকিছুরই প্রতীক হচ্ছে তাওয়াফ। তাওয়াফ করার মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলার প্রতি আনুগত্য ও বশ্যতাকেই বুঝায়।
  • যদিও বেশিরভাগ উত্তম কাজ ডান থেকে বামে করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, কিন্তু কা‘বা শরীফ তাওয়াফ করতে বলা হয়েছে বাম ধার ধরে। আশ্চর্যজনক বিষয় হলো সূর্য, চন্দ্র, পৃথিবী এবং দেহের রক্ত চলাচল বাম থেকে ডানে হয়।
  • হজ ও উমরাহ উভয় ইবাদাতের জন্যই তাওয়াফ বাধ্যতামূলক। হজ বা উমরাহ পালনকারীকে যে কোনো উপায়ে (হেঁটে অথবা হুইল চেয়ারে বা কাঁধে চড়ে) তাওয়াফ সম্পন্ন করতে হয়।
  • ঋতুবর্তী মহিলারা তাওয়াফ করতে পারবেন না; তবে তারা হজ ও উমরাহর অন্যান্য কার্যাবলী সম্পাদন করতে পারবেন এবং তাদের ঋতু বন্ধ হওয়ার পর তারা তাওয়াফ করবেন।
  • কা‘বা ঘর সংলগ্ন একটি স্থান রয়েছে যার নাম হাতিম/হিজর - কা‘বা ঘরের উত্তর দিকে কা‘বা সংলগ্ন অর্ধ-বৃত্তাকার এ উচু দেওয়ালটিও কা‘বা ঘরেরই অংশ। এ হাতিমের মধ্য দিয়ে তাওয়াফ করলে তাওয়াফ হবে না। (বাহির অংশ দিয়ে তাওয়াফ করতে হবে)
  • সাধারণত তাওয়াফ ৪ ধরনের। যথা - তাওয়াফুল কুদুম (ইফরাদ ও ক্বিরান হাজীর প্রথম তাওয়াফ/তামাত্তু হাজীর উমরাহর তাওয়াফ), তাওয়াফুল ইফাদাহ/যিয়ারাহ (হজের ফরয তাওয়াফ), তাওয়াফুল বিদা (হজের বিদায় তাওয়াফ) ও নফল তাওয়াফ (ঐচ্ছিক তাওয়াফ)।
[1] সূরা আল-বাকারা: ২:১২৫