কোন গুনাহ্ একাকীভাবে করে পরে তা অন্যের কাছে বলে বেড়ানো আরকটি কবীরা গুনাহ্ বা হারাম।
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
كُلُّ أُمَّتِيْ مُعَافًى إِلاَّ الْمُجَاهِرِيْنَ، وَإِنَّ مِنَ الْـمُجَاهَرَةِ أَنْ يَّعْمَـلَ الرَّجُلُ بِاللَّيْلِ عَمَلًا، ثُمَّ يُصْبِحُ وَقَدْ سَتَرَهُ اللهُ، فَيَقُوْلُ : يَا فُلَانُ! عَمِلْتُ الْبَارِحَةَ كَذَا وَكَذَا، وَقَدْ بَاتَ يَسْتُرُهُ رَبُّهُ، وَيُصْبِحُ يَكْشِفُ سِتْرَ اللهِ عَنْهُ.
‘‘আমার প্রতিটি উম্মতই নিরাপদ তথা ক্ষমার যোগ্য। তবে প্রকাশ্য গুনাহ্গাররা নয়। আর প্রকাশ্য গুনাহ্ বলতে এটাকেও বুঝানো হয় যে, কেউ রাত্রিবেলায় মানব সমাজের অলক্ষ্যেই গুনাহ্’র কাজটা করলো। ভোর পর্যন্ত কারোর নিকট তা ফাঁস হয়ে যায়নি; অথচ ভোর হতেই সে অন্যকে বললো: হে অমুক! আমি গত রাত্রিতে এমন এমন অপকর্ম করেছিলাম। আল্লাহ্ তা‘আলা তো তার উক্ত কর্মটি সকাল পর্যন্ত লুকিয়ে রাখলেন; অথচ সে ভোর হতেই তা জনসমক্ষে প্রকাশ করে দিলো’’।
(বুখারী ৬০৬৯)
এ ছাড়াও কোন গুনাহ্’র কাজ জনসমাজে বার বার বলা হলে অথবা প্রকাশ্যে আলোচনা করা হলে মানুষ তা সহজেই গ্রহণ করে নেয় এবং তা ধীরে ধীরে ব্যাপকতা লাভ করে। এ ভয়ঙ্করতার প্রতি লক্ষ্য রেখেই আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:
«إِنَّ الَّذِيْنَ يُحِبُّوْنَ أَنْ تَشِيْعَ الْفَاحِشَةُ فِيْ الَّذِيْنَ آمَنُوْا لَهُمْ عَذَابٌ أَلِيْمٌ فِيْ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ، وَاللهُ يَعْلَمُ وَأَنْتُمْ لَا تَعْلَمُوْنَ».
‘‘নিশ্চয়ই যারা অশ্লীল কাজ মুসলিম সমাজে চালু হয়ে যাক তা পছন্দ করে তাদের জন্য রয়েছে বেদনাদায়ক শাস্তি দুনিয়াতে এবং আখিরাতেও। আল্লাহ্ তা‘আলাই এর ভয়ঙ্করতা সম্পর্কে ভালোই জানেন; অথচ তোমরা তা জানো না’’। (নূর : ১৯)