শরীয়তের প্রয়োজনীয় জ্ঞান ছাড়া কুর‘আনের কোন আয়াতের মনগড়া ব্যাখ্যা দেয়া অথবা কুর‘আনের কোন বিষয় নিয়ে অমূলক ঝগড়া-ফাসাদ করা কবীরা গুনাহ্ ও হারাম। আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:
«قُلْ إِنَّمَا حَرَّمَ رَبِّيَ الْفَوَاحِشَ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ، وَالإِثْمَ وَالْبَغْيَ بِغَيْرِ الْـحَقِّ، وَأَنْ تُشْرِكُوْا بِاللهِ مَا لَمْ يُنَزِّلْ بِهِ سُلْطَانًا، وَأَنْ تَقُوْلُوْا عَلَى اللهِ مَا لَا تَعْلَمُوْنَ».
‘‘(হে মুহাম্মাদ) তুমি ঘোষণা করে দাও: নিশ্চয়ই আমার প্রভু হারাম করে দিয়েছেন প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সকল ধরনের অশ্লীলতা, পাপকর্ম, অন্যায় বিদ্রোহ, আল্লাহ্ তা‘আলার সাথে কাউকে শরীক করা; যে ব্যাপারে তিনি কোন দলীল-প্রমাণ অবতীর্ণ করেননি এবং আল্লাহ্ তা‘আলা সম্পর্কে অজ্ঞতাবশত কিছু বলা’’। (আ’রাফ্ : ৩৩)
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
اقْرَؤُوْا الْقُرْآنَ عَلَى سَبْعَةِ أَحْرُفٍ، فَأَيَّمَا قَرَأْتُمْ أَصَبْتُمْ، وَلَا تُمَارُوْا فِيْهِ، فَإِنَّ الْمِرَاءَ فِيْهِ كُفْرٌ.
‘‘তোমরা কুর‘আন পড়ো সাতভাবে তথা সাতটি আঞ্চলিক রূপে। এ রূপগুলোর মধ্য থেকে তোমরা যেভাবেই পড়বে তাই শুদ্ধ। তবে কুর‘আনকে নিয়ে তোমরা অমূলক ঝগড়া-ফাসাদ করো না। কারণ, তা করা কুফরি’’। (স’হীহুল্ জা’মি’ ১১৬৩)
আবূ বকর (রাঃ) কে কুর‘আন মাজীদের নিম্ন আয়াত:
«وَفَاكِهَةً وَّأَبًّا»
(‘আবাসা : ৩১).
উক্ত আয়াতের ‘‘আববুন্’’ শব্দ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন:
أَيُّ سَمَاءٍ تُظِلُّنِيْ، وَأَيُّ أَرْضٍ تُقِلُّنِيْ إِذَا قُلْتُ فِيْ كِتَابِ اللهِ مَا لَا أَعْلَمُ.
‘‘কোন্ আকাশই বা আমাকে ছায়া দিবে এবং কোন্ জমিনই বা আমাকে বহন করবে যদি আমি আল্লাহ্’র কিতাব সম্পর্কে সঠিকভাবে কোন কিছু না জেনেশুনে মনগড়া কোন কথা বলি’’।