বিনা ওযরে ওয়াক্ত পার করে নামায পড়া আরেকটি কবীরা গুনাহ্ ও হারাম।
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:
«فَخَلَفَ مِنْ بَعْدِهِمْ خَلْفٌ أَضَاعُوْا الصَّلَاةَ وَاتَّبَعُوْا الشَّهَوَاتِ فَسَوْفَ يَلْقَوْنَ غَيًّا، إِلاَّ مَنْ تَابَ وَآمَنَ وَعَمِلَ صَالِحًا فَأُوْلَآئِكَ يَدْخُلُوْنَ الْـجَنَّةَ وَلَا يُظْلَمُوْنَ شَيْئًا».
‘‘নবী ও হিদায়াতপ্রাপ্তদের পর আসলো এমন এক অপদার্থ বংশধর যারা নামায বিনষ্ট করলো এবং প্রবৃত্তির পূজারী হলো। সুতরাং তারা ‘‘গাই’’ নামক জাহান্নামের শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে। তবে যারা এরপর তাওবা করে নিয়েছে, ঈমান এনেছে এবং নেক আমল করেছে তারাই তো জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তাদের প্রতি কোনরূপ যুলুম করা হবে না’’। (মার্ইয়াম : ৫৯-৬০)
আব্দুল্লাহ্ বিন্ মাস্’ঊদ্, সা’ঈদ্ বিন্ মুসাইয়িব, ’উমর বিন্ আব্দুল আযিয, মাসরূক্ব ও অন্যান্যদের মতে উক্ত আয়াতে নামায বিনষ্ট করা বলতে ওয়াক্ত পার করে নামায পড়াকে বুঝানো হয়েছে।
নামায তো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই পড়তে হয়। আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:
«إِنَّ الصَّلَاةَ كَانَتْ عَلَى الْـمُؤْمِنِيْنَ كِتَابًا مَّوْقُوْتًا».
‘‘নিশ্চয়ই নামায নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই মু’মিনদের উপর ফরয করা হয়েছে’’। (নিসা’ : ১০৩)