হারাম ও কবিরা গুনাহ হারাম ও কবীরা গুনাহ্ পরিচিতি মোস্তাফিজুর রহমান বিন আব্দুল আজিজ আল-মাদানী ১ টি

গান-বাদ্য কিংবা মিউজিক শুনাও হারাম কাজ এবং কবীরা গুনাহ্।

আবূ মা’লিক আশ্‘আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

لَيَكُوْنَنَّ مِنْ أُمَّتِيْ أَقْوَامٌ يَسْتَحِلُّوْنَ الْـحِرَ وَالْـحَرِيْرَ وَالْـخَمْرَ وَالْـمَعَازِفَ.

‘‘আমার উম্মতের মধ্যে এমন কিছু সম্প্রদায় অবশ্যই জন্ম নিবে যারা ব্যভিচার, সিল্কের কাপড়, মদ্য পান ও বাদ্যকে হালাল মনে করবে’’। (বুখারী ৫৫৯০)

আব্দুল্লাহ্ বিন্ মাস্’ঊদ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি আল্লাহ্ তা‘আলার কসম খেয়ে বলেন: আল্লাহ্’র বাণী:

«وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَّشْتَريْ لَـهْوَ الْـحَدِيْثِ لِيُضِلَّ عَنْ سَبِيْلِ اللهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ وَّيَتَّخِذَهَا هُزُوًا، أُوْلَآئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ مُّهِيْنٌ»

‘‘মানুষের মধ্য থেকে তো কেউ কেউ অজ্ঞতাবশত: আল্লাহ্ তা‘আলার পথ থেকে অন্যদেরকে বিচ্যুত করার জন্য অসার বাক্য তথা গান (কিংবা সেগুলোর আসবাবপত্র) খরিদ করে এবং আল্লাহ্ প্রদর্শিত পথ নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে। তাদের জন্য রয়েছে (পরকালে) অবমাননাকর শাস্তি’’। (লুক্বমান : ৬)

ইব্নু মাস্’ঊদ্ (রাঃ) কসম খেয়ে বলেন: উপরোক্ত আয়াত থেকে একমাত্র উদ্দেশ্যই হচ্ছে গান-বাদ্য।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাদ্যকে অভিসম্পাতও করেন। তিনি বলেন:

صَوْتَانِ مَلْعُوْنَانِ فِيْ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ : مِزْمَارٌ عِنْدَ نِعْمَةٍ، وَرَنَّةٌ عِنْدَ مُصِيْبَةٍ.

‘‘দু’ ধরনের আওয়াজ দুনিয়া ও আখিরাতে লা’নতপ্রাপ্ত। তার মধ্যে একটি হচ্ছে সুখের সময়ের বাদ্য। আর অপরটি বিপদের সময়ের চিৎকার’’। (সা’হীহুল্ জা’মি’, হাদীস ৩৮০১)

বর্তমান যুগে নতুন নতুন বাদ্যযন্ত্রের দ্রুত আবিষ্কার, গায়ক-গায়িকা ও অভিনেতা-অভিনেত্রীর সরগরম বাজার, আধুনিক সুরের রকমফের, গানের ভাষা ও ইঙ্গিতের ভয়ানকতা ব্যাপারটিকে আরো বহুদূর এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। সুতরাং তা হারাম হওয়ার ব্যাপারে আর কারোর সামান্যটুকু সন্দেহের অবকাশও থাকতে পারে না। উপরন্তু গান হচ্ছে ব্যভিচারের প্রথম ধাপ এবং গান মানুষের মধ্যে মুনাফিকীরও জন্ম দেয়।