বেগানা কোন মহিলার সাথে কোন পুরুষের মুসাফাহা করা হারাম ও কবীরা গুনাহ্।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
لَأَنْ يُّطْعَنَ فِيْ رَأْسِ أَحَدِكُمْ بِمِخْيَطٍ مِنْ حَدِيْدٍ خَيْرٌ لَهُ مِنْ أَنْ يَّمَسَّ امْرَأَةً لَا تَحِلُّ لَهُ.
‘‘তোমাদের কারোর মাথায় লোহার সুঁই দিয়ে আঘাত করা তার জন্য অনেক শ্রেয় বেগানা কোন মহিলাকে স্পর্শ করার চাইতে যা তার জন্য হালাল নয়’’।
(স’হীহুল্ জা’মি’ ৪৯২১)
কেউ কেউ মনে করেন, আমার মন খুবই পরিষ্কার। তাঁকে আমি মা, খালা অথবা বোনের মতোই মনে করি ইত্যাদি ইত্যাদি। তা হলে মুসাফাহা করতে অসুবিধে কোথায়। আমরা তাদেরকে বলবো: আপনার চাইতেও বেশি পরিষ্কার ছিলো রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অন্তর। এরপরও তিনি যে কোন বেগানা মহিলার সাথে মুসাফাহা করতে অস্বীকৃতি জানান।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
إِنِّيْ لَا أُصَافِحُ النِّسَاءَ أَوْ إِنِّيْ لَا أَمَسُّ أَيْدِيْ النِّسَاءِ.
‘‘নিশ্চয়ই আমি কোন বেগানা মহিলার সাথে মুসাফাহা করতে রাজি নই’’।
(স’হীহুল্ জা’মি’ ৩৫০৯, ৭০৫৪)
বর্তমান সমাজে এমনো কিছু আত্মমর্যাদাহীন লোক রয়েছে যাদের নেককার স্ত্রী, মেয়ে ও বোনেরা বেগানা পুরুষের সাথে মুসাফাহা করতে রাজি নয়; চাই তা লজ্জাবশত হোক অথবা ঈমানী চেতার দরুন; তবুও এ ধর্মহীন লোকেরা তাদেরকে উক্ত কাজ করতে বাধ্য করে। তাদের এ কথা মনে রাখা উচিৎ যে, একবার যদি তাদের লজ্জা উঠে যায় দ্বিতীয়বার তা ফিরিয়ে আনা অবশ্যই অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে এবং তাদের নিজেদের ব্যাপারেও এ কথা চিন্তা করা দরকার যে, যার লজ্জা নেই তার ঈমানও নেই। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
إِنَّ الْـحَيَاءَ وَالْإِيْمَانَ قُرِنَا جَمِيْعًا، فَإِذَا رُفِعَ أَحَدُهُمَا رُفِعَ الْآخَرُ.
‘‘লজ্জা ও ঈমান একই সূত্রে গাঁথা। তার মধ্যে একটি ফসকে গেলে অন্যটিও ফসকে যাবে অবশ্যই’’। (স’হীহুল্ জা’মি’ ৩২০০)