বিপদাপদ আসলে নিম্নোক্ত কাজগুলো অবশ্যই করণীয়:
১. এ কথা মনে করবে যে, দুনিয়াটা হচ্ছে পরীক্ষার ক্ষেত্র। সুতরাং এখানে সর্বদা আরাম করার তেমন কোন সুযোগ নেই।
২. এ কথাও মনে করবে যে, যতটুকু বিপদ আমার ভাগ্যে লেখা আছে তা তো ঘটবেই তাতে আমার করার কিছুই নেই। বরং তাতে একমাত্র সন্তুষ্টই থাকতে হবে এবং ধৈর্য ধরতে হবে।
৩. এটাও মনে করবে যে, এর চাইতে আরো বড় বিপদও তো আসতেই পারতো। তা হলে সে কঠিন বিপদ থেকে তো রক্ষাই পাওয়া গেলো।
৪. যে ব্যক্তি আপনার মতোই বিপদগ্রস্ত তার প্রতি খেয়াল করবেন। তা হলে বিপদের প্রকোপ সামান্যটুকু হলেও লাঘব হবে।
৫. আপনার চাইতেও বেশি বিপদগ্রস্ত এমন লোকের প্রতি তাকাবেন। তা হলে একটু হলেও খুশি লাগবে।
৬. আপনি যা হারিয়েছেন আল্লাহ্ তা‘আলার নিকট তার চাইতেও আরো উন্নত প্রতিদানের আশা করবেন। যদি বিকল্প পাওয়া সম্ভবপর হয়ে থাকে।
৭. অন্ততপক্ষে ধৈর্যের ফযীলতের কথা খেয়াল করে ধৈর্য ধরবেন। আর যদি পারেন আল্লাহ্ তা‘আলার ফায়সালার উপর পূর্ণ সন্তুষ্ট থাকবেন।
৮. এ কথা অবশ্যই মনে করবেন যে, আল্লাহ্ তা‘আলার সকল ফায়সালাই আমার জন্য কল্যাণকর তা যাই হোক না কেন।
৯. এ কথাও মনে করতে হবে যে, কঠিন বিপদ নেককার হওয়ারই পরিচায়ক।
১০. এটাও মনে করবে যে, আমি আল্লাহ্’র গোলাম। আর গোলামের মনিবের উপর করার তো কিছুই নেই।
১১. আপনার অন্তর কখনো আল্লাহ্ তা‘আলার ফায়সালার উপর বিদ্রোহ করতে চাইলে তাকে অবশ্যই শায়েস্তা করবেন। কারণ, ক্ষিপ্ত হওয়াতে ক্ষতি ছাড়া কোন ফায়েদা নেই।
১২. এ কথা মনে করবেন যে, কোন বিপদ কখনো দীর্ঘস্থায়ী হয় না। সুতরাং এ বিপদও এক সময় অবশ্যই কেটে যাবে।