আত্মসাৎকারী পুরুষ ও মহিলার সাক্ষ্য, কারোর বিপক্ষে তার শত্রুর সাক্ষ্য, ব্যভিচারী ও ব্যভিচারিণীর সাক্ষ্য, কাউকে ব্যভিচারের অপবাদ দিয়ে তার বিরুদ্ধে চারজন সাক্ষী উপস্থিত করতে না পারার দরুন দন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির সাক্ষ্য, কোন পরিবারের পক্ষে তাদের কাজের লোকের সাক্ষ্য এবং শরীয়তের বিধি-বিধানের ব্যাপারে একেবারেই অজ্ঞ লোকের সাক্ষ্য কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।
‘আব্দুল্লাহ্ বিন্ ‘আমর বিন্ ‘আস্ব (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:
رَدَّ رَسُوْلُ اللهِ شَهَادَةَ الْـخَائِنِ وَالْـخَائِنَةِ، وَذِيْ الْغِمْرِ عَلَى أَخِيْهِ، وَرَدَّ شَهَادَةَ الْقَانِعِ لِأَهْلِ الْبَيْتِ، وَفِيْ رِوَايَةٍ: وَلَا تَجُوْزُ شَهَادَةُ زَانٍ وَلَا زَانِيَةٍ.
‘‘রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আত্মসাৎকারী পুরুষ ও মহিলার সাক্ষ্য এবং কোন মুসলিম ভাইয়ের বিপক্ষে তার শত্রুর সাক্ষ্য প্রত্যাখ্যান করেন। তেমনিভাবে তিনি প্রত্যাখ্যান করেন কোন পরিবারের পক্ষে তাদের কাজের লোকের সাক্ষ্য। অন্য বর্ণনায় রয়েছে, কোন ব্যভিচারী ও ব্যভিচারিণীর সাক্ষ্যও শরীয়তের দৃষ্টিতে বৈধ নয়’’।
(আবূ দাউদ ৩৬০০, ৩৬০১; ইব্নু মাজাহ্ ২৩৯৫)
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
لَا تَجُوْزُ شَهَادَةُ بَدَوِيٍّ عَلَى صَاحِبِ قَرْيَةٍ.
‘‘কোন মরুবাসীর সাক্ষ্য শহুরে ব্যক্তির বিপক্ষে বৈধ নয়। কারণ, মরুবাসী শরীয়তের বিধি-বিধান না জানার দরুন সাক্ষ্য গ্রহণ ও প্রদান সম্পর্কে নিতান্তই অজ্ঞ’’। (আবূ দাউদ ৩৬০২; ইব্নু মাজাহ্ ২৩৯৬)