হারাম ও কবিরা গুনাহ হারাম ও কবীরা গুনাহ্ পরিচিতি মোস্তাফিজুর রহমান বিন আব্দুল আজিজ আল-মাদানী ১ টি

কাউকে লুক্কায়িতভাবে ব্যভিচার কিংবা যে কোন হারাম কাজ করতে দেখলে তা তড়িঘড়ি বিচারককে না জানিয়ে তাকে ব্যক্তিগতভাবে নসীহত করা ও পরকালে আল্লাহ্ তা‘আলার কঠিন শাস্তির ভয় দেখানো উচিত।

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

مَنْ سَتَرَ مُسْلِمًا سَتَرَهُ اللهُ فِيْ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ.

‘‘কোন মুসলিমের দোষ লুকিয়ে রাখলে আল্লাহ্ তা‘আলা দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষও লুকিয়ে রাখবেন’’।

(তিরমিযী ১৪২৫; ইব্নু মাজাহ্ ২৫৯২)

দন্ডবিধি প্রয়োগের সময় চেহারার প্রতি লক্ষ্য রাখবে:

কারোর উপর শরীয়ত কর্তৃক নির্ধারিত কোন দন্ডবিধি প্রয়োগ করার সময় তার চেহারার প্রতি অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে তা আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ক্ষত-বিক্ষত না হয়ে যায়।

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

إِذَا ضَرَبَ أَحَدُكُمْ فَلْيَتَّقِ الْوَجْهَ.

‘‘কেউ কাউকে (দন্ডবিধি প্রয়োগের ক্ষেত্রে) মারলে তার চেহারার প্রতি অবশ্যই লক্ষ্য রাখবে যাতে তা আঘাতপ্রাপ্ত না হয়’’।

(বুখারী ৫৫৯; মুসলিম ২৬১২; আবূ দাউদ ৪৪৯৩)

যে কোন দন্ডবিধি মসজিদে প্রয়োগ করা যাবে না:

‘আব্দুল্লাহ্ বিন্ ‘আববাস্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

لَا تُقَامُ الْـحُدُوْدُ فِيْ الْـمَسَاجِدِ.

‘‘মসজিদে কোন দন্ডবিধি কায়েম করা যাবে না’’। (ইব্নু মাজাহ্ ২৬৪৮)

’হাকীম বিন্ ’হিযাম (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:

نَهَى رَسُوْلُ اللهِ  أَنْ يُّسْتَقَادَ فِيْ الْـمَسْـجِدِ، وَأَنْ تُنْشَدَ فِيْهِ الْأَشْعَارُ، وَأَنْ تُقَامَ فِيْهِ الْـحُدُوْدُ.

‘‘রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে কারোর থেকে প্রতিশোধ নিতে, কবিতা আবৃত্তি করতে ও দন্ডবিধি কায়েম করতে নিষেধ করেছেন’’।

(আবূ দাউদ ৪৪৯০)

দুনিয়াতে কারোর উপর শরীয়তের কোন দন্ডবিধি কায়েম করা হলে তা তার জন্য কাফ্ফারা হয়ে যায় তথা তার অপরাধটি ক্ষমা করে দেয়া হয়। পরকালে এ জন্য তাকে কোন শাস্তি দেয়া হবে না।

’উবা’দাহ্ বিন্ স্বা’মিত (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

مَنْ أَصَابَ مِنْكُمْ حَدًّا، فَعُجِّلَتْ لَهُ عُقُوْبَتُهُ ؛ فَهُوَ كَفَّارَتُهُ، وَإِلاَّ فَأَمْرُهُ إِلَى اللهِ، إِنْ شَاءَ عَذَّبَهُ، وَإِنْ شَاءَ غَفَرَ لَهُ.

‘‘যে ব্যক্তি (শয়তানের ধোকায় পড়ে) এমন কোন হারাম কাজ করে ফেলেছে যাতে শরীয়তের নির্দিষ্ট কোন দন্ডবিধি রয়েছে। অতঃপর তাকে দুনিয়াতেই সে দন্ড দেয়া হয়েছে। তখন তা তার জন্য কাফ্ফারা হয়ে যাবে। আর যদি তা তার উপর প্রয়োগ না করা হয় তা হলে সে ব্যাপারে আল্লাহ্ তা‘আলাই ভালো জানেন। চায়তো আল্লাহ্ তা‘আলা তাকে পরকালে শাস্তি দিবেন নয়তো বা ক্ষমা করে দিবেন’’।

(তিরমিযী ১৪৩৯; ইব্নু মাজাহ্ ২৬৫২)

কোন এলাকায় ইসলামের যে কোন দন্ডবিধি একবার প্রয়োগ করা সে এলাকায় চল্লিশ দিন যাবৎ বারি বর্ষণ থেকেও অনেক উত্তম।

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

حَدٌّ يُعْمَلُ بِهِ فِيْ الْأَرْضِ خَيْرٌ لِأَهْلِ الْأَرْضِ مِنْ أَنْ يُّمْطَرُوْا أَرْبَعِيْنَ صَبَاحًا.

‘‘বিশ্বের বুকে ধর্মীয় কোন দন্ডবিধি প্রয়োগ করা বিশ্ববাসীদের জন্য অনেক উত্তম চল্লিশ দিন লাগাতার বারি বর্ষণ থেকেও’’। (ইব্নু মাজাহ্ ২৫৮৬)