হারাম ও কবিরা গুনাহ গুনাহ্’র অপকার মোস্তাফিজুর রহমান বিন আব্দুল আজিজ আল-মাদানী ১ টি

১২. গুনাহ্ করতে করতে গুনাহ্কে গুনাহ্ মনে করার চেতনাটুকুও গুনাহ্গারের অন্তর থেকে সম্পূর্ণরূপে লোপ পায়। তখন গুনাহ্ করাই তার অভ্যাসে পরিণত হয়। তাকে কেউ গুনাহ্ করতে দেখলে অথবা কেউ এ ব্যাপারে তার সম্পর্কে কথা বললে সে এতটুকুও লজ্জা পায় না। বরং অন্যকে দেখিয়ে করতে পারলে সে তাতে বেশি মজা পায়। গুনাহ্ করতে পেরেছে বলে সে অন্যের কাছে গর্ব করে এবং যে তার গুনাহ্ সম্পর্কে অবগত নয় তাকেও সে তা জানিয়ে দেয়। সাধারণত এ জাতীয় মানুষের তাওবা নসীব হয় না এবং তাকে ক্ষমাও করা হয় না।

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

كُلُّ أُمَّتِيْ مُعَافىً إِلاَّ الْـمُجَاهِرِيْنَ، وَإِنَّ مِنَ الْـمُجَاهَرَةِ أَنْ يَّعْمَلَ الرَّجُـلُ بِاللَّيْلِ عَمَلًا، ثُمَّ يُصْبِحُ وَقَدْ سَتَرَهُ اللهُ، فَيَقُوْلُ: يَا فُلَانٌ! عَمِلْتُ الْبَارِحَةَ كَذَا وَكَذَا، وَقَدْ بَاتَ يَسْتُرُهُ رَبُّهُ، وَيُصْبِحُ يَكْشِفُ سِتْرَ اللهِ عَنْهُ.

‘‘প্রকাশ্য গুনাহ্গার ছাড়া সকল উম্মতই ক্ষমা পাওয়ার উপযুক্ত। আর প্রকাশ্য গুনাহ্’র অন্তর্ভুক্ত এটিও যে, জনৈক ব্যক্তি গভীর রাত্রে কোন একটি গুনাহ্’র কাজ করলো। ভোর হয়েছে অথচ আল্লাহ্ তা‘আলা এখনো তার গুনাহ্টিকে লুকিয়ে রেখেছেন। কিন্তু সে নিজেই জনসম্মুখে তার গুনাহ্টি ফাঁস করে দিয়েছে। সে বলছে, হে অমুক! শুনো, আমি গত রাত্রিতে এমন এমন করেছি। অথচ তার প্রভু তার গুনাহ্টিকে রাত্রি বেলায় লুকিয়ে রেখেছেন। আর সে ভোর হতেই আল্লাহ্ তা‘আলার গোপন রাখা বিষয়টিকে ফাঁস করে দিলো’’। (বুখারী ৬০৬৯; মুসলিম ২৯৯০)