উত্তরঃ এ জাতীয় মহিলা- যার রক্তক্ষরণ হয়, সে এই ঘটনার আগের মাসিক ঋতুস্রাবের দিনগুলো হিসাব করে তদনুযায়ী প্রত্যেক মাসে নামায-রোযা পরিত্যাগ করবে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, যদি আগে প্রত্যেক মাসের শুরুতে ছয় দিন ধরে ঋতুস্রাব চলা তার অভ্যাস থাকে, তাহলে এখনও সে প্রত্যেক মাসের শুরুতে ছয় দিন অপেক্ষা করবে- নামায পড়বে না, রোযাও রাখবে না। অতঃপর ছয় দিন শেষ হয়ে গেলে গোসল করে নামায-রোযা আদায় করবে।
উক্ত মহিলার এবং তার মত রোগগ্রস্ত মহিলার নামাযের পদ্ধতি হলো, সে তার লজ্জাস্থানকে পরিপূর্ণভাবে ধুয়ে পট্টি বাঁধবে এবং তারপর অযু করবে। আর ফরয নামাযের ক্ষেত্রে নামাযের সময় শুরু হলে এমনটা করবে। অনুরূপভাবে ফরয নামাযের সময় ছাড়া অন্য সময় নফল নামায পড়তে চাইলে তখনও তা-ই করবে। বিষয়টা কষ্টসাধ্য হওয়ার কারণে যোহরের নামাযকে আছরের সাথে এবং মাগরিবের নামাযকে এশার সাথে জমা করে পড়া তার জন্য জায়েয রয়েছে। যাতে করে তার কষ্টসাধ্য এই কাজটা ৫ বারের পরিবর্তে ৩ বার করলেই যথেষ্ট হয়ঃ যোহর ও আছরের জন্য একবার, মাগরিব ও এশার জন্য একবার এবং ফজরের জন্য একবার।
আমি আবারও বলছি, যখন সে পবিত্রতা অর্জন করতে চাইবে, তখন সে তার লজ্জাস্থান ভাল করে ধুয়ে ন্যাকড়া বা অনুরূপ কোন কিছু দিয়ে উহাতে পট্টি বাঁধবে- যাতে রক্তক্ষরণের পরিমাণটা কমে। অতঃপর অযু করে নামায পড়বে। যোহরের চার রাকআত, আছরের চার রাক‘আত, মাগরিবের তিন রাক‘আত, এশার চার রাক‘আত এবং ফজরের দুই রাক‘আত পড়বে। অর্থাৎ সে কছর করবে না- যেমনটি কিছু কিছু মানুষ মনে করে থাকে। তবে যোহর ও আছরকে এবং মাগরিব ও এশাকে জমা করে পড়া তার জন্য জায়েয রয়েছে- কছর করে নয়। যোহরকে আছরের ওয়াক্তে বিলম্বিত করে অথবা আছরকে যোহরের ওয়াক্তে এগিয়ে নিয়ে এসে জমা করে পড়া যায়। অনুরূপভাবে মাগরিবকে এশার ওয়াক্তে বিলম্বিত করে অথবা এশাকে মাগরিবের ওয়াক্তে এগিয়ে নিয়ে এসে জমা করে পড়া যায়। আর যদি সে এই অযুতে নফল নামায পড়তে চায়, তাহলে পড়তে পারে- কোন অসুবিধা নেই।