প্রশ্ন ১৯: প্রশ্নকারী বলেন, একজন মহিলা প্রসূতি থাকা অবস্থায় সাতদিন রোযা ভেঙ্গেছে এবং স্তন্যদানকারিণী থাকা অবস্থায় পরবর্তী রমযানের সাতদিন অতিবাহিত হয়ে গেছে-তথাপিও অসুস্থতার অজুহাতে সে রোযার ক্বাযা আদায় করেনি। এমনকি তৃতীয় রমযানও আসার উপক্রম হয়েছে! এক্ষণে তার করণীয় কি? জানিয়ে বাধিত করবেন। আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।

উত্তরঃ উক্ত মহিলার বক্তব্য অনুযায়ী যদি সে সত্যিই অসুস্থ হয়ে থাকে এবং ক্বাযা আদায় করতে সক্ষম না হয়, তাহলে যখনই সক্ষম হবে তখনই ক্বাযা আদায় করবে। এক্ষেত্রে পরবর্তী রমযান এসে গেলেও সমস্যা নেই। কেননা সে ওযরগ্রস্ত। কিন্তু যদি তার ওযর না থাকে; বরং অহেতুক অজুহাত দেখায় এবং বিষয়টা তুচ্ছ জ্ঞান করে, তাহলে তার জন্য এক রমযানের ক্বাযা রোযা অন্য রমযান পর্যন্ত বিলম্বিত করা বৈধ নয়। আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন, “আমার উপর রোযা ক্বাযা থাকত এবং আমি তা শাবান মাসে ছাড়া ক্বাযা আদায় করতে পারতাম না।”[1] অতএব, ঐ মহিলাকে নিজের প্রতি খেয়াল করতে হবে; আসলেই যদি তার ওযর না থাকে, তাহলে সে গোনাহগার হবে এবং তাকে আল্লাহর নিকট তওবা করতে হবে। আর তার যিম্মায় যে রোযা বাকী রয়েছে, তা দ্রুত ক্বাযা আদায় করতে হবে। পক্ষান্তরে, যদি সে ওযরগ্রস্ত হয়, তাহলে এক বা দুই বছর পিছিয়ে দিলেও তার কোন গোনাহ হবে না।

1. বুখারী, 'রোযা' অধ্যায়, 'রমযানের ক্বাযা রোযা কখন আদায় করবে?' অনুচ্ছেদ হা/১৯৫০; মুসলিম, 'রোযা' অধ্যায়, 'রমযানের ক্বাযা রোযা দেরীতে আদায় করা জায়েয' অনুচ্ছেদ হা/১৫১, ১১৪৬।