এই যাদুর বিবরণঃ
এ প্রকার যাদুর মাধ্যমে কেবল মহিলারাই আক্রান্ত হয়ে থাকে। যে মহিলাকে স্রাব প্রবাহিত করিয়ে যাদু করা হয় যাদুকর সে মহিলার শরীরে জ্বিন প্রেরণ করে সেই জ্বিন তখন তার রগে রক্তে চলতে থাকে, যেমনঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ "শয়তান আদম সন্তানের ভেতরে রক্ত প্রবাহের ন্যায় প্রবাহিত হয়।" (বুখারী ও মুসলিম)
জ্বিন যখন মহিলার জরায়ুর বিশেষ রগ পর্যন্ত পৌছে ওটাকে আঘাত করে; যার ফলে সেই রগ থেকে রক্ত প্রবাহিত হতে থাকে। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হামনা বিনতে জাহাশের ইস্তেহাযা বিষয়ের প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন এটাতো শয়তানের একটি আঘাত মারার ফল। (হাদীসটি তিরমিয়ী বর্ণনা করেছেন এবং সহীহ) অন্য এক বর্ণনাতে আছে "এটা তো রগের রক্ত হয়েয নয়।" (নাসায়ী ও মুসনাদে আহমদ)
উভয় বর্ণনা একত্রিত করলে বুঝা যায় যে, ইস্তেহাযা সেই সময়ই হয়ে থাকে যখন শয়তান মহিলার জরায়ুতে যে রগগুলো রয়েছে তার কোনটিতে যখন আঘাত হানে।
স্রাবের যাদু কি?
মুসলিম মনীষীগণ এই রক্তের নামকরণ করেছে ইস্তেহাযা আর ডাক্তারগণ তাদের পরিভাষায় বলেন জরায়ু স্রাব।
আল্লামা ইবনে আসীর বলেন ইস্তোহাযা বলা হয় ঋতু স্রাবের নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত সময়ে রক্ত প্রবাহিত হলে। (নিহায়াঃ ১/৪৭৯) এর সময়সীমা কয়েকমাস পর্যন্ত হতে পারে। রক্তের পরিমাণ কখনও কম হয় কখনও বেশি।
চিকিৎসা
উপরোক্ত ঝাড়-ফুঁক পানিতে পড়ে সে পানি পান করবে ও তা দ্বারা গোসল করবে তিনদিন তা ব্যবহার করলে আল্লাহর হুকুমে স্রাব বন্ধ হয়ে যাবে। দীর্ঘ সময় পার হলেও যদি রক্ত প্রবাহ বন্ধ না হয় তবে “লিকুল্লি নাবায়্যিন মুসতাক্বর” এই আয়াতকে পরিচ্ছন্ন কালির মাধ্যমে লিখে পানিতে গুলিয়ে রোগীকে দুই অথবা তিন সপ্তাহ পান করাবে। ইনশাআল্লাহ রোগ থেকে মুক্তি পাবে।
এই যাদুর চিকিৎসার এক বাস্তব উদাহরণঃ
এই রোগে আক্রান্ত এক মহিলা আমার কাছে আসল। অতঃপর আমি তাকে কুরআনের আয়াত পড়ে ঝাড়লাম এবং কুরআনের ক্যাসেট শুনার জন্যও দিলাম।
আলহামদুলিল্লাহ সে কিছুদিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছে। আর কুরআনের আয়াত বৈধ কালি দ্বারা লিখিত আয়াতকে পানিতে মিশ্রিত করে সে পানি পান ও তা দ্বারা গোসলের বৈধতার শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহঃ) মত দিয়েছেন। (ফতোয়া ইবনে তাইমিয়াঃ ১৯/৬৪)