চতুর্থ উপায়ঃ তাহাজ্জুদের নামায আদায়

যে ব্যক্তি নিজেকে যাদুর অনিষ্ট হতে রক্ষা করতে চায় সে যেন রাত্রির কিছু অংশ হলেও রাত্রি জাগরণ করে ইবাদত করে। এ থেকে একেবারে বিমূখ না থাকে কেননা তা থেকে বিমূখ থাকা শয়তানের প্রভাব পড়ার কারণ হয়ে থাকে। আর শয়তান যদি পেয়ে বসে তবে যাদু ক্রিয়া সহজ হয়।

ইবনে মাসউদ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত যে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকটে এক ব্যক্তির বিষয়ে অভিযোগ করা হয় যে, সে সকাল পর্যন্ত ঘুমিয়ে ছিল। এমনকি ফজরের নামাযও আদায় করতে পারেনি। অতঃপর নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, শয়তান তার কানে পেশাব করে দিয়েছে। (বুখারীঃ ৬/৩৩৫, মুসলিমঃ ৬/৬৩)

ইবনে উমর (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) হতে বর্ণিত, “যে ব্যক্তি বেতের নামায আদায় না করেই সকাল করে সে যেন মাথায় এক ৪০ গজ বিশিষ্ট রশি নিয়ে সকাল করে।" (ইবনে হাজার ফাতহুল বারীতে উল্লেখ করে বলেন তার সূত্র সঠিকঃ ৩/২৫)