১। ইতিপূর্বে উল্লেখিত আয়াতগুলি পড়তে হবে।
২ । যখন রোগী বেহুশ হয়ে যাবে, তখন তার সাথে সেই পদ্ধতিই গ্রহণ করতে হবে যেমন পূর্বে বর্ণনা করা হয়েছে।
৩। আর যদি রোগী বেহুশ না হয় তবে উল্লেখিত পন্থায় তিন বার অথবা এরও অধিকবার ঝাড়-ফুক করতে হবে। এরপরও যদি বেহুশ না হয় তবে সেই সব সূরাকে কোন ক্যাসেটে রেকর্ড করে তাকে প্রতিদিন দুই অথবা তিনবার এক মাস পর্যন্ত শুনাতে হবেঃ ঝাড়-ফুকের আয়াতসমূহও সূরাগুলি হলোঃ
সূরা বাকারা, হুদ, হিজর, সাফফাত, ক্বাফ, আর-রহমান, মূলক, জ্বিন, আ'লা, যিলযাল, হুমাযা, কাফিরুন, ফালাক, ও সূরা নাস। দেখা যাবে এসব সূরা শুনার ফলে রোগীর অন্তরে ধড়ফড় শুরু করবে এমনকি রোগী আয়াত শুনতে শুনতে বেহুশ হয়ে যেতে পারে। এরপর জ্বিন কথা বলতে থাকবে আর কখনও কষ্ট বৃদ্ধি পেয়ে পনের দিনের অধিকও থাকতে পারে। অতঃপর ধীরে ধীরে কমতে কমতে মাসের শেষে একেবারেই শেষ হয়ে যাবে। এমতাবস্থায় রোগীকে আয়াতগুলো তার উপর স্বাভাবিকতা আসার জন্য পড়তে থাকতে হবে।
৪ । চিকিৎসাকালীন সময়ে রোগীকে ব্যাথা কমের কোন ঔষধ ব্যহার করতে দেয়া যাবে না। কেননা এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খারাপ হতে পারে।
৫। চিকিৎসাকালীন সময়ে বিদ্যুতের ঝটকা দেয়া যেতে পারে। কেননা তাতে যেমন দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করতে পারে তেমনি জিনের জন্যও বেশি কষ্টের কারণ হয়ে থাকে।
৬ । এমনও হতে পারে যে, আপনি এক মাসের সময় থেকে কম নির্ধারণ করতে পারেন। অথবা তিন মাস অথবা এর অধিকও হতে পারে।
৭। চিকিৎসার সময়কালে এটাও খেয়াল রাখতে হবে যে, রোগী যেন কোন সাগীরা ও কাবীরা গোনাহ যেন না করে। যেমনঃ গান-শোনা ধুমপান, অথবা নামায না পড়া ইত্যাদি। আর যদি মহিলা হয় তবে বেপর্দা যাতে না থাকে ।
৮। যদি রোগীর পেটে ব্যাথা হয় তবে বুঝতে হবে যে, রোগীকে যাদু করা বস্তু পান করানো হয়েছে অথবা খাওয়ানো হয়েছে। আপনি তখন উল্লেখিত আয়াত তিলাওয়াত করে পানিতে ফু দিয়ে রোগীকে সুস্থ হওয়ার পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত পান করাবেন, যাতে যাদুর প্রতিক্রিয়া নিঃশেষ হয়ে যায়। অথবা রোগী বমি করে দেয়।