এর চিকিৎসা তিনটি স্তরে করতে হবেঃ
প্রথম স্তরঃ চিকিৎসার পূর্বের স্তরঃ
১। সেই ঘরে ঈমানী পরিবেশ তৈরি করতে হবে। যেমনঃ সর্বপ্রথম সেই ঘরকে সকল প্রকার ছবি থেকে পবিত্র করতে হবে যেন ফেরেশতা প্রবেশ করতে পারে।
২। সেই ঘরকে সকল প্রকার গান-বাজনা থেকে পবিত্র করতে হবে।
৩। সেই ঘরের কেউ শরীয়তের বিধান অমান্য করবে না। যেমনঃ পুরুষ সোনা পরবে না আর মহিলা বেপর্দা থাকবে না এবং কোন ব্যক্তি ধুমপান করবে না।
৪। অসুস্থ ব্যক্তির সাথে তাবীজ-কবচ, কড়ি বা এধরণের কিছু থাকলে তা খুলে জ্বালিয়ে দিবে।
৫। পরিবারের সকলকেই বিশুদ্ধ আকীদায় বিশ্বাসী হিসেবে তৈরি করা। যেন সবাই এর জন্য আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো সাথে সম্পর্ক না রাখে।
৬। অসুস্থ ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করা হবে তার অবস্থা নির্ণয় ও তার লক্ষণ বুঝার জন্য যেমনঃ তোমার স্ত্রীকে কি কখনও তোমার নিকট ঘৃণা লাগে? তোমাদের মাঝে কি সাধারণ ও সামান্য বিষয় নিয়ে বিবাদ সৃষ্টি হয়? তুমি কি ঘরের বাহিরে আনন্দ উপলব্ধি করো? আর যখনই ঘরে প্রবেশ করো তখনই কি সমস্যা অনুভব হয়? সহবাসের সময় কি কারে বিরক্ত বোধ হয়? ঘুমের মাঝে কি তাদের উভয়ের মধ্যে কেউ অস্থিরতা অনুভব বা ভীতিজনক স্বপ্ন দেখতে পায়?
চিকিৎসক উপরোক্ত প্রশ্নাবলী থেকে দু'টি বা ততোধিক যদি সঠিক হয় তবে চিকিৎসা শুরু করবে।
৭। চিকিৎসা আরম্ভ করার পূর্বে নিজে এবং সহযোগী উভয়েই ওযু করে নিবে।
৮। অসুস্থ রোগী যদি মহিলা হয়ে থাকে, তবে পর্দা অবস্থায় না হলে চিকিৎসা করবে না।
৯ । কোন এমন মহিলার চিকিৎসা করবে না, যে শরীয়ত পরিপন্থী পোশাকে রয়েছে যেমনঃ মুখ খোলা, সুগন্ধি ব্যবহৃত অবস্থায় বা নখ বড় করে কাফের মহিলা সদৃশ রয়েছে।
১০। মহিলার চিকিৎসা তার মাহরামের (একান্ত আপনজন) উপস্থিতিতে হতে হবে।
১১ । মাহরাম ব্যতীত অন্য পুরুষ তার সাথে থাকতে পারবে না।
১২। সফলতার জন্যে নিজকে সকল কলুষতা ও অন্যের প্রতি সকল আস্থা থেকে মুক্ত রাখবে। আর একমাত্র আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করবে ও তার উপরেই আস্থা রাখবে।