এ পদ্ধতিতে যাদুকর ছোট এমন একটি বালককে হাজির করে যে, এখনও প্রাপ্ত বয়সে পৌছেনি। আর সে যেন বিনা ওযু হয় তারপর সে বালকের বাম পাঞ্জা ধরে তার হাতে এরূপ চতুর্ভূজ অংকন করে।



 


অতঃপর এই চতুর্ভূজের পার্শ্বে শিরকী যাদুমন্ত্র লিখে। আর এ যাদুমন্ত্র সে তার চার কর্ণারে লিখে থাকে। অতঃপর বালকের হাতের তালুতে চতুর্ভূজের মধ্যখানে কিছু তৈল, একটি নীল ফুল বা কিছু তৈল ও নীল কালি রাখে । এরপর আবার অন্য এক মন্ত্র লিখে একক অক্ষর দ্বারা এক লম্বা কাগজে, তারপর সে কাগজ বালকটির চেহারার উপর ছাতার আকৃতিতে রাখে। তার উপর পরিয়ে দেয় একটি টুপী যাতে তা ঠিক থাকে। তারপর বালকটিকে মোটা কাপড় দ্বারা পুরোপুরি আবৃত করে ফেলে। এমতাবস্থায় বালকটি তার তালুর দিকে তাকাতে থাকে; কিন্তু ভিতরে অন্ধকার হওয়ার কারণে কিছু দেখতে পায় না। এরপর মালাউন যাদুকর কঠিন প্রকৃতির কুফরী পাঠ করতে থাকে। তারপর বালকটি হঠাৎ করে আলো দেখতে পায় ও দেখে যে তার হাতের তালুতে একটি ছবি নড়া-চড়া করছে। অতঃপর যাদুকর বালককে জিজ্ঞাসা করে কি দেখছ? বালক জবাব দেয় আমি আমার সামনে এক ব্যক্তির ছবি দেখছি।

যাদুকর বলেঃ তাকে বলঃ তোমাকে যাদুকর বা পীর সাহেব এই এই বিষয়ে বলছে। এরপর ছবিটি হুকুম অনুযায়ী নড়া-চড়া করতে থাকে। এ পদ্ধতি তারা সাধারণত হারানো বস্তু খোজার জন্য ব্যবহার করে থাকে।

নিঃসন্দেহে এ পদ্ধতিও শিৱক, কুফর ও অবোধগম্য তন্ত্ৰ-মন্ত্রে ভরা।